দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- কলকাতার বুকে পুলিশের ঐতিহ্য নিয়ে বছরের পর বছর দাঁড়িয়ে আছে লাল বাড়ি। কলকাতার যেখানে বিবাদী বাগ, তার উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে বৌবাজার পর্যন্ত ছিল তৎকালীন ‘ক্যালকাটা’র এই রাস্তাটির ব্যাপ্তি। ইংরেজদের মতে রাস্তাটি ছিল ‘বেস্ট স্ট্রিট অফ ক্যালকাটা’।
লন্ডনের রাস্তাগুলির আদলে বানানো এই সড়কপথের নাম ব্রিটিশরা দিয়েছিলেন ‘অ্যাভিনিউ টু দ্য ইস্টওয়ার্ড’।আর স্থানীয়রা বলতেন ‘গ্রেট বাংলো রোড’। কারণ, এই রাস্তাতেই অবস্থিত ছিল একটি প্রাসাদোপম বাড়ি, যার মালিক ছিলেন তৎকালীন কলকাতার অন্যতম ধনকুবের ব্যবসায়ী জন পামার। সেই রাস্তা আজও আছে। আছে সেই বাড়িটিও। তেরোটি আর্চ এবং ‘পোরবন্দর থাম’ সম্বলিত সেই দক্ষিণমুখী চারতলা বাড়িতেই অধিষ্ঠান কলকাতা পুলিশের প্রধান কার্যালয়। আর এই কার্যালয়ের লালবাজার হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ।
অনুমান করা হয় যে, বর্তমান লালবাজার এলাকায় সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের একটি কাছারিবাড়ি ছিল। দোলের সময়, লালদীঘি ও তার সংলগ্ন এলাকা আবির ও কুমকুমের রঙে লালবর্ণ ধারণ করত। সেই থেকেই লালবাজার’ নামকরণ, এই ধারণা অনেকের।রেভারেন্ড জেমস্ লঙ লাল ইটে তৈরি মিশন চার্চ বা লাল গির্জাটিকে লালবাজারের নামকরণের কারণ হিসেবে ইঙ্গিত করেছিলেন। এই লাল গির্জাটি ১৭৬৮ সালে নির্মাণ করেন জন জাকারিয়া কারন্যান্ডার, যিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রোটেস্টান্ট পাদ্রী। অথচ গির্জাটির প্রতিষ্ঠার বহু আগেই ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির নথিপত্রে ১৭৪৫ সাল থেকেই লালবাজারের উল্লেখ পাওয়া যায়।