উত্তর ২৪ পরগনা: বারাকপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সভামঞ্চ থেকে স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীর নাম না করে তাঁকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, ‘‘এখানকার প্রার্থীর নামের বিষয়ে কথা বলতে চাই না। ছেলেকে দিয়ে উল্টো ছবি কেন দিলেন? রবীন্দ্রনাথের ছবিটাও চেনা যায় না? বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দিতে হয়, রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টে দিতে হয়? সোজা করে দিতে পারেন না? ছবি যখন দেয়, বলে মোদীজির জিন্দাবাদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জিন্দাবাদ বলে না।’’
মমতা বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান শান্তিনিকেতন বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা নতুন নয়। কেন জানেন, বাংলার সংস্কৃতি ওরা জানে না। আমরা কিন্তু দেশের সংস্কৃতি জানি। আমরা বলি, এ মাটি আমাদের গর্ব।’’ এর পর নিজের লেখা ছড়া বলেন মমতা।
মমতা বলেন, ‘‘নোয়াপাড়ায় খুব প্রিয় ছেলে ছিলেন । বিকাশ বোস। আমি তখন যুব কংগ্রেসে। সে-ও ছিলেন। পুরো মৃত্যুকাণ্ড চাপা দেওয়া হয়। সিপিএম আমল। নাম বলব না। আপনারা গেস করুন। কে করেছিল। সিপিএম আমলে অনেকে বেঁচেছিল। এখন বিজেপি আমলে সাত খুন মাফ অ্যাডজাস্ট করলেই। বিজেপি ওয়াশিং মেশিলে কালোরা সাদা হয়ে বেরিয়ে আসছে।”
মমতা বলেন, ‘‘এক জন স্বজন আছে। জেলে বসে খুনের পরিকল্পনা করে। যেমন বিকাশকে করেছিল। এদের ছুঁতে নেই। আমাদের সঙ্গে ছিল। মাঝে এসেছিল, ভেবেছিলাম বদলেছিল। ময়লা যায় না ধুলে, কয়লা যায় না মুলে। বলছে আমরা চোর। এত বিজ্ঞাপন দিচ্ছিস কী করে? সকাল থেকে মোদীর মুখ আর প্রচার। এদিকে ১০০ দিনের লোকের টাকা নেই। আমরা দেব। ভাটপাড়া মিল আমরা খুলিয়েছি।’’
মমতা বলেন, ‘‘গত বছরের লোকসভা নির্বাচন মনে আছে? দাঙ্গা লাগিয়েছিল। আমি ছুটে এসেছিলাম। আমায় গালাগাল দিয়েছিল। আমি থামিনি। সব পার্টি অফিস রং করিয়েছি। সব জায়গায় একা ঘুরে বেড়িয়েছি। আয় কত ক্ষমতা আছে? আমি একটা লড়তে পারি।’’
মমতা বলেন, ‘‘দোষ প্রধানমন্ত্রীর নয়। তিনি জানেন না। দোষ তাঁর, যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। যাঁর কথায় প্রার্থী করা হয়েছে।’’ এর পর মমতা ‘তুমি কি কেবলই ছবি’ আবৃত্তি করেন।