দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বেআইনি নির্মাণ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে এক অভিযোগ আসে এবং সেই মতই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে মেয়রের কাছে দায়ের হয় অভিযোগ। ওই অভিযোগকারীর দাবি ছিল, বিষয়টি কলকাতা পুরসভার নজরে নিয়ে আসায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, এবার কলকাতা পুরসভা বিল্ডিং আইনে বড় বদল আনা হতে পারে। বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার ক্ষেত্রে নোটিশ ধরাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু, তা অগ্রাহ্য করেও নির্মাণ জারি রাখার অভিযোগ। এবার সেই কাজ বন্ধ করার জন্যই এই বিল্ডিং আইন সংশোধনের ভাবনা চিন্তা পুরসভার।
সূত্রের খবর, বিধানসভা অধিবেশনে এই সংক্রান্ত একটি বিল পাশ হতে পারে। এর আগে ২০০৯ সালে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য কলকাতার মেয়র থাকাকালীন বিল্ডিং আইনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এবার নির্মাণ বন্ধ করার নোটিশ জারি করার পাশাপাশি নজরদারি আরও বাড়ানো হতে চলেছে। এই লক্ষ্যে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে। যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার নোটিশ দেওয়া হবে সেই সম্পর্কিত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হলে আপডেট দেওয়া হবে এই গ্রুপে। যেখানে যেখানে নোটিশ পাঠানো হবে সেখানে যাবেন পুর ইঞ্জিনিয়ররা। কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে তার ছবি এবং ভিডিয়ো তুলতে হবে তাঁদের ও তা পাঠাতে হবে গ্রুপে। সেখানে কলকাতা পুরসভার উচ্চ পদস্থ আধিকারিক থেকে এই সম্পর্কিত সমস্ত কর্তারা থাকবেন। শুধু তাই নয়, থাকতে পারেন মেয়র পারিষদরা।
এই পদক্ষেপ কার্যকরী হলে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা অনেকাংশে সম্ভব হবে। ফলে বাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে শহর কলকাতায় ফ্ল্যাট কেনাও অনেকাংশে সহজ হতে চলেছে। কমতে পারে আইনি জটিলতাও। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে বেআইনি বাড়ির রমরমা কমবে। ফলে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা হতে চলেছে তাঁদের।
উল্লেখ্য, বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কোনও অভিযোগ সামনে এলে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। ফলে আইনে পরিবর্তন হলে তা অন্যতম একটি ধাপ হতে চলেছে, এমনটাই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।