kolkata

4 weeks ago

সবুজ বাজির উৎপাদন ও বিক্রিতে গতি আনতে তৎপর রাজ্য সরকার

The state government is active in speeding up the production and sale of green beets
The state government is active in speeding up the production and sale of green beets

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ-   সবুজ বাজির উৎপাদন ও তা বিক্রির জন্য গতি আনতে সচেষ্ট রাজ্য সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি জেলায় বাজি ক্লাস্টার গড়ার পাশাপাশি বাজি ব্যবসায়ীদের জন্য গুদাম তৈরির যে পরিকল্পনা রয়েছে সেই অনুযায়ী জমি দেওয়ার ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সচিবালয় নবান্নে  মুখ্যসচিব ড. মনোজ পন্থের নেতৃত্বে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  বৈঠকে বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে সরকারের কাছে বাজি সংরক্ষণের জন্য গুদাম তৈরির ভাবনাচিন্তার সদর্থক ভূমিকা হিসেবে জমি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, সরকারি স্তরে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, রাজ্য সরকার বাজি ব্যবসায়ীদের বিনামূল্যে ওই জমি দেবে। এবং বেনিফিসিয়ারিরা নিজেদের খরচে গুদাম ঘর তৈরি করবে। অন্যদিকে - কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং , পূর্ব মেদিনীপুরে এজন্য প্রাথমিকভাবে জমি চিহ্নিত হয়েছে। উৎসবের মরসুম ছাড়াও যারা বছরভর বাজি উৎপাদন ও বিক্রি করেন মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রশাসনিক সূত্রের।

প্রসঙ্গত জেলাস্তরে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি ক্লাস্টার নির্মাণ করার কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাবড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, শিলিগুড়ি, মাথাভাঙা ও জলপাইগুড়ির বেরুবাড়িতে জোরকদমে ক্লাসটার তৈরির কাজ চলছে। এর পাশাপাশি জোরকদমেই চলছে বাজি নির্মাতাদের প্রশিক্ষণ পর্ব। ইতিমধ্যেই রাজ্যসরকারের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ন্যাশানাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংক্ষেপে - নিরিখে সংস্থার তরফেও রাজ্যের ২৩২ জন বাজি উৎপাদককে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে। আর কিছু লাইসেন্স বিলি হবে শীঘ্রই। ওই বৈঠকে দমকল, পরিবেশ, শ্রম দফতরের সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং কলকাতা পুরসভার কমিশনার ও উপস্থিত ছিলেন। বাজি ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠনের পাশাপাশি সব জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনাররা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং নিরির প্রতিনিধিরাও। চলতি বছর রাজ্যে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দসীমার মধ্যে থাকা বাজিতে ছাড়পত্র দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সে কথা মাথায় রেখেই যাতে বাজি প্রস্তুতকারকেরা উৎপাদন ও বিক্রি করতে পারেন সে ব্যাপারেও পুলিশকে বৈঠক থেকে দ্রুত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

You might also like!