দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃলোকসভা ভোটের মাঝে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়সড় মোড়। জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মঙ্গলবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিবিআইয়ের হাতে। বাড়িতে তদন্তকারীদের অভিযান চলকালীন তথ্য লোপাট করতে নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি। পরে সেসব মোবাইল উদ্ধার করে সিবিআই। ১৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) জামিন পেলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণের জামিন সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হয়। জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীরা জানান, নিয়োগ মামলার চার্জশিটে নাম থাকা ২৩ জনের মধ্যে ৯ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁদের মধ্যে তিন জন জামিন পেয়ে যান। এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায় এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে, জীবনকৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই।
সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, জীবনকৃষ্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তি। জীবনকৃষ্ণ পুকুরে ফোন ছুড়ে ফেলে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার তথ্যপ্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করেছেন। বিধায়কের ফোনের চ্যাট ঘেঁটে এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে জামিন দিলে এসএসসি মামলায় প্রভাব পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আর্জি খারিজ করে এদিন জীবনকৃষ্ণর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গত বছর জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি অভিযানের মাঝেই নিজের দামি দুটি অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল সেট পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। তথ্য লোপাটের অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজত ঘুরে তখন থেকেই জেলবন্দি বিধায়ক।
জীবনকৃষ্ণের ফোন থেকে নিয়োগ মামলার একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। চার্জশিট জমা পড়ার পরও কেন জেলবন্দি করে রাখা হবে, এই প্রশ্ন তুলে গত বছর পুজোর আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক।