দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ অফিস টাইমে বারবার ট্রেন বাড়ানোর জন্য ভারতীয় রেলওয়ের কাছে দরবার করেও লাভ হয়নি। অথচ, বুধবার স্টেশনে দেখা মিলল অতিরিক্ত ট্রেনের। জানা গেল, কলকাতায় বিজেপির সভায় যাওয়ার জন্য কিছু স্পেশাল ট্রেন দিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে। এই খবর সামনে আসতেই দ্বিচারিতার অভিযোগে সরব রাজ্যের শাসকদল।
বিজেপির সভার জন্য বুধবার বনগাঁ শিয়ালদা, শিয়ালদা নামখানা রুটে দেখা মিলল স্পেশাল ট্রেনের। স্পেশাল প্যাসেজ্ঞার ট্রেন হওয়ার কারণে এতে শুধু বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকেরাই সওয়ার হলেন সেখানে প্রবেশাধিকার নেই সাধারণ যাত্রীদের। শুধু এই রুটেই নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে সভায় লোক আনার জন্য ভাড়া করা হয়েছে ট্রেন। মালদা থেকে শিয়ালদা, বীরভূমের মুরারই ও আসানসোল থেকেই বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন আসে শিয়ালদায়। বিজেপির সভার জন্য রেলের ব্যবস্থা নিয়ে দ্বিচারিতার প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমরা তো বার বার বলছি। বিজেপি সরকারি সম্পত্তির অপব্যবহার করছে। পুরো পরিকাঠামো নষ্ট করে দিচ্ছে। লোকজন হবে না, এদিকে মোটা টাকা খরচা করে ট্রেন দিচ্ছে। অন্য সময় নাকি ট্রেন পাওয়া যায় না। আমরা যখন দিল্লিতে বঞ্চিত কৃষকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রেন বুক করেছিলাম, তখন শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল করেছিল। যাতে অসুবিধায় পড়ি। নিজেরা সরকারি সম্পত্তি নিয়ে নিজেদের মর্জি মতো চালাচ্ছে।'
এই প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূলকে এক হাত নেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। বলেন, 'যারা সরকারি পয়সা চুরি করে তাদের মুখে সরকারি সম্পত্তি অপব্যবহারের মতো অভিযোগ মানায় না। তাদের এই কথার কোনও রাজনৈতিক অধিকার নেই। চার পয়সার নকুল দানার পার্টি তৃণমূল।তারা কী বলল না বলল, তাতে কিছু এসে যায় না। আমাদের কর্মীরা তো মানুষ, তারা তো মঙ্গলগ্রহ থেকে আসেনি। তারা অ্যাঞ্জেলও নয়, যে উড়ে উড়ে সভায় পৌঁছবে। তারা কোথা দিয়ে আসবে! ট্রেনে, বাসেই তো আসবে। আমাদের যা ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে, তার সব তথ্য আছে। আর তৃণমূল ট্রেন বাতিলের কথা বলছে! তারা তো পরিকল্পিতভাবে ওই নাটক তৈরি করেছে। তারা নিজেদের নেতা কর্মীদের ট্রেনে নিয়েই যেতে চায়নি। নইলে ওইরকম হাস্যকরভাবে আবেদন করত না।'