কলকাতা, ১২ এপ্রিল : বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু পরিস্থিতির তুলনা করে সামাজিক মাধ্যমে বিশ্লেষণ করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। শনিবার তিনি লিখেছেন, “ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলমানেরা তাণ্ডব চালিয়েছে রাজ্যে, বাস পুড়িয়েছে, দোকান পুড়িয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে। দেখে ভাবছিলাম নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ৮ দফা দাবিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কিছু মিছিল মিটিং করেছিল বলে হিন্দু নেতা চিন্ময়কে জেলে নিল সরকার। এখনও তিনি জেলে। হিন্দুদের ওপর চলছে অকথ্য নির্যাতন। এই নির্যাতনের কোনও শেষ নেই। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে হিন্দুরা, ফেসবুকে নবী নিয়ে কটুক্তি করেছে, এই হলো নতুন ছুতো, এই ছুতোয় অবলীলায় হিন্দু বাড়িতে এমনকী পুরো হিন্দু গ্রামেই হামলা করছে জিহাদিরা।
পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলমানের হিংস্রতা দেখে ভাবছিলাম বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা কি এর একশো ভাগের এক ভাগ হিংস্রতা দেখাতে পারতো? দেখালে দেশকে হিন্দুশূন্য করতে কয়েক ঘণ্টাই জিহাদিদের জন্য যথেষ্ট। যথেষ্ট তো হবেই, দেশে যখন হিন্দু বিদ্বেষী জিহাদি সরকার বসে আছে! ভাবছিলাম ভারতের পশ্চিমবঙ্গও যদি রাজ্যকে সংখ্যালঘু শূন্য করতে চায়, তাহলে? মুসলমানরা কোথায় যাবে? বাংলাদেশে ? বাংলাদেশ থেকে মুসলমানের ভয়ে হিন্দুরা যেমন পশ্চিমবঙ্গে চলে যায়! পশ্চিমবঙ্গ থেকে হিন্দুর ভয়ে মুসলমানেরা কেন বাংলাদেশে চলে আসে না? এখানে এলে মোড়ে মোড়ে মসজিদ মাদ্রাসা পাবে, রাস্তা ব্লক করা নামাজ পাবে, শত শত ওয়াজ মাহফিল পাবে, কান ফেটে যায় এমন শব্দে আজান পাবে, সস্তায় গরুর মাংস পাবে, শরিয়া আইন পাবে, এমনকী খেলাফতের স্বপ্ন পাবে। কট্টর মুসলমানদের জন্য এমন প্রতিবেশি পাওয়া ভাগ্যের কথা। তারপরও কেন তারা কাঁটাতার ডিঙোয় না? তাহলে কি সত্য এই, পশ্চিমবঙ্গের কট্টর মুসলমানরাও বাংলাদেশের কট্টর মুসলমানদের ভয় পায়! এতই ভয়ংকর তাহলে বাংলাদেশের মুসলমান!!”