কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর : সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে তদন্ত করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। ওই চিঠি নিয়ে তদন্ত করতে পারবে কাঁথি থানাও।
জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুদীপ্তর চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। বুধবার সেই মামলায় খারিজ করে এমনই সিদ্ধান্ত জানাল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের নির্দেশেই সারদা-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তাই কাঁথি থানায় সারদার নথি চুরি নিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, তা-ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস।
মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, একই মামলায় দু’টি সমান্তরাল তদন্ত হতে পারে না। সারদা নিয়ে কাঁথি থানায় যে মামলা রুজু হয়েছে তা-ও সিবিআইকে দেওয়া হোক। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, সারদা-কাণ্ডের যাবতীয় মামলা পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে সিবিআইকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো এই সব মামলার তদন্ত করছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে এই অবস্থায় রাজ্য পুলিশ এর তদন্ত করতে পারে না।
কিন্তু নথি চুরির মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য জানায়, চুরির ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে সরাসরি আমানতকারী বা ক্ষতিগ্রস্তরা জড়িত নয়। ফলে পুলিশের তদন্তে কোনও বাধা নেই।
বুধবার সেই মামলার শুনানিতে কাঁথি থানার তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল না উচ্চ আদালত। মামলাটি সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন খারিজ করা হয়েছে। কাঁথি থানাই সারদা নথি চুরির তদন্ত করবে।
এ বছর জুন মাসে নিজের লেখা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন সুদীপ্ত সেন। আদালতে হাজিরা দিতে এসেও বলেন, “টাকা দিয়েছিলাম শুভেন্দু অধিকারীকে। চিঠি দিয়ে আদালতকে সব জানিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারীর ডাকে কাঁথি গিয়েছিলাম জমি এবং প্ল্যান স্যাংশনের বিষয় নিয়ে।”