দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বাংলামুখী শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তেমন কোনও বদল না ঘটলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কলকাতায় পৌঁছনোর কথা তাঁর। পরদিনই তিনি যাবেন মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে। এবার কৃষ্ণভক্তদের আবেগে ছুঁতেই কি ইসকনে যাবেন অমিত শাহ, ওয়াকিবহাল মহলে তা নিয়ে চর্চা তু্ঙ্গে।
গোটা জানুয়ারি মাস ধরেই বিজেপি রামনামের উপরে ছিল। অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের পরেও সেই পর্ব চলছে। বাংলা থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা দলীয় উদ্যোগে অযোধ্যা যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে অযোধ্যা যাননি শাহ। তার আগেই বাংলায় এসে মায়াপুরে কৃষ্ণের মন্দির দর্শনে যাচ্ছেন তিনি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত শাহের যা সূচি, তাতে ২৮ ফেব্রুয়ারি বেশি রাতে কলকাতায় চলে আসতে পারেন তিনি। রাত্রিবাস করে ২৯ তারিখ সকালেই চলে যাবেন মায়াপুরে। সেখানে মন্দির দর্শনের পরে রানাঘাট-সহ আশপাশের কয়েকটি লোকসভা এলাকার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শাহ। সেই সময়ে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় কোনও প্রকাশ্য সমাবেশ হবে না।
এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে, দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর ইস্কন মন্দিরে যাওয়ার কথা। এর পরে বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরেও কিছু কর্মসূচি থাকবে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে পারেন। এ ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে এত তাড়াতাড়ি নিশ্চিত হওয়া যায় না। ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে তিনি বাংলায় থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন। তবে কখন কোথায় কী কর্মসূচি হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’’
শাহের ইস্কন সফর এই প্রথম নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের শেষেও মায়াপুরের এই মন্দিরে এসেছিলেন তিনি। অনেকটা সময় মন্দিরে কাটিয়েছিলেন। এর পরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ইস্কন মন্দিরে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আবার যাওয়ার কথা শাহের।
নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে বাংলার ধর্মস্থান ছুঁয়ে প্রচারে নেমেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বাংলার মতুয়া আবেগ ছুঁতে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দি গিয়েছিলেন। মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম ওড়াকান্দিতে। এ বার দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ের আগে সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বিজেপি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের সফরে এসে শাহ ও নড্ডা সাংগঠনিক বৈঠক করলেও দিন শুরু করেছিলেন উত্তর কলকাতার মহাত্মা গান্ধী রোডের গুরুদ্বার এবং দক্ষিণে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেওয়ার মধ্য দিয়ে।