কলকাতা, ২০ সেপ্টেম্বর : পরলোক গমন করলেন বাংলার সঙ্ঘ কাজের প্রেরণা তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের 'বরিষ্ঠ প্রচারক' কেশবরাও দীক্ষিত । সর্বজন শ্রদ্ধেয় কেশবরাও দীক্ষিত মঙ্গলবার সকালে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মৃত্যুকালে তারঁ বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর । তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও সমস্ত সঙ্ঘ পরিবারে ।
জানা গেছে, নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ দিন তিনি কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । মঙ্গলবার সকাল ১০ টা ৩৪ মিনিট নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি । আজই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে । তার আগে শেষ দর্শনের জন্য হাসপাতাল থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রান্ত কার্যালয় (কেশব ভবন)-এ । দুপুর ২টো থেকে বিকেলে ৪.৩০ পর্যন্ত সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন সকলে । এরপর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে নিমতলা মহাশ্মশানে । সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
কেশবরাও দীক্ষিতের জন্ম ১ আগষ্ট, ১৯২৫ সালে মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা জেলার পুলগাঁও গ্রামে। পিতা দত্তাত্রেয় দীক্ষিত, মাতা সগুণা দেবী এবং পিতামহ চিন্তামণি দীক্ষিত। পারিবারিক পেশা পৌরোহিত্য হলেও, তার পিতা ছিলেন পরিবারের প্রথম চাকুরীজীবী। দত্তাত্রেয় একটি কটন মিলে কাজ করতেন। পাঁচ ভাই ও চার বোনের সংসারে কেশবরাও ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তার উপনয়ন দেওয়া হল। ১৯৪৯ সালে জলগাঁও-এর এম. জে. কলেজ থেকে তিনি মারাঠি ও সংস্কৃতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করলেন। এহেন কেশবরাওয়ের সঙ্ঘ জীবন শুরু হয় মাত্র ছয় বছর বয়সে ১৯৩১ (প্রবেশ ) সালে, প্রথম বর্ষ সঙ্ঘশিক্ষা১৯৯৩, দ্বিতীয় বর্ষ সঙ্ঘশিক্ষা ১৯৪০ এবং তৃতীয় বর্ষ সঙ্ঘশিক্ষা ১৯৪১ সালে ১৯৫০ সাল থেকে শুরু হল প্রচারকের জীবন । কলকাতার বড়বাজারে ভাগ প্রচারক হিসেবে সঙ্ঘকার্য শুরু করেন। কেশবরাও বিগত ৭২ বছর সংঘের বিভিন্ন দায়িত্ব যেমন কলকাতা মহানগর প্রচারক, প্রান্ত সম্পর্ক প্রমুখ, প্রান্ত প্রচারক, ক্ষেত্র বৌদ্ধিক প্রমুখ এবং ক্ষেত্র প্রচারকের মতো গুরু দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে নির্বাহ করেন এরমধ্যে কিছু সময় তিনি ভারতীয় জনসঙ্ঘের ক্ষেত্রের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও সমস্ত সঙ্ঘ পরিবারে ।