দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড় বছর হয়ে গেল তিনি জেলবন্দি। গরু পাচার মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করার পর থেকে দিল্লির তিহার জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল । কিন্তু দলে তাঁর সমাদর আগের মতোই। বিশেষত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ) এখনও পূর্ণ আস্থা রয়েছে অনুব্রতর উপর। বীরভূম নেতৃত্বের সঙ্গে সদ্য দলীয় বৈঠকেও জেলা সভাপতির পদ অনুব্রতর জন্য রেখে দিয়েছেন নেত্রী। জানিয়েছেন, অনুব্রত ফিরে এলে সেই জায়গা ফের তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হবে। নেত্রীর কথা মেনেই অনুব্রতর ফর্মুলায় বিজেপি (BJP) বিরোধিতায় শান দিচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বকেয়া প্রাপ্তির দাবিতে কলকাতার রেড রোডের ধরনামঞ্চে তাই অনুব্রতর সুর শোনা গেল দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) গলায়। বহু পরিচিত ‘নকুলদানা’, ‘চড়াম চড়াম’ বলে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।এ বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে শুভেন্দু অধিকারীকেও তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নাম ধরে আক্রমণের জন্য।
কয়েক মাস আগেও বীরভূমের বেতাজ বাদশা হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলকেই বুঝতেন রাজ্যবাসী। কিন্তু কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ এখন জেলবন্দি তিনি। কেষ্ট কারাগারে থাকলেও অতীতে তাঁর দেওয়া বিভিন্ন নিদানের ব্যবহার যে বন্ধ হয়নি তা ফের স্মরণ করালেন কুণাল। চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো হোক বা নকুলদানা-গুড় বাতাসা। বিভিন্ন সময় ভোটের আগে অনুব্রতের এই সব ‘আতিথেয়তা’ (বিরোধীরা বলেন হুমকি) নিয়ে চর্চা চলেছিল বিস্তর। কেষ্টর নাম না নিলেও তাঁর দেখানো পথই যে বিরোধীদের ‘জব্দ’ করার উপায়, তা এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নাম ধরে এরা গালাগাল দেয়। রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মানে এই নয়, যে সিবিআই-ইডি দেখিয়ে একের পর এক অসভ্যতা করে যাবে বিজেপি। আর তৃণমূল আঙুল চুষবে। তৃণমূল এই সব অসভ্যতার জবার মানুষের ভোটে দেবে।” এর পরই কুণালের হুঁশইয়ারি, “তৃণমূল রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনায়। এ বার আমাদের দলের নেতানেত্রীদের বলতে হবে। এক বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও রবীন্দ্রসঙ্গীত নয়। রেজাল্টের দিন বিকালে ডিজে বাজাবো সারা বাংলায়। আমাদের নেত্রীকে নাম রোজ নাম ধরে ধরে আক্রমণ করবে। আর রসগোল্লা খাওয়াব ওদের? হবে না। অনেক হয়েছে। আর হবে না। বীরভূমে নকুলদানা দিয়ে যদি জল না দেওয়া হয়, যদি আবার চড়াম চড়াম করে ঢাকের বাদ্যি না শোনানো হয়। তাহলে এরা করেই যাবে কুৎসা। অপসংস্কৃতি তৈরি করেছে। কোনও অবস্থায় আমরা এগুলো হতে দেব না।” কুণালের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিত বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।