দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ SLST শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের আইনি জট কাটতে চলেছে। আগামী সোমবার এই নিয়োগ জট কাটার ব্যাপারে কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, X হ্যান্ডলে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানির পর কুণালের টুইটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বুধবার এসএলএসটি নিয়োগ জটিলতা নিয়ে মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। রাজ্যের তরফে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বস্তুত, এ বিষয়েই কিশোরের সঙ্গে কথা বলতে গত সোমবার হাই কোর্টে গিয়েছিলেন কুণাল। দীর্ঘ ক্ষণ দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছিল। বুধবারের শুনানির পর অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুণাল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘মনে রাখুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগের সব ব্যবস্থা করে দিলেও বিরোধীদের অন্যায্য মামলার জটে আটকে ছিলেন যোগ্যরা।’’ কুণাল আরও লিখেছেন, ‘‘আশা করি খুব শিগগিরই সবার মুখে হাসি ফুটবে। জট কাটার দিকে এগোচ্ছে।’’ পরে কুণাল ফোনে বলেন, ‘‘অ্যাডভোকেট জেনারেল যথাযথ সওয়াল করার কারণেই বিচারপতি এত কম সময়ের মধ্যে ফের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। হলফনামা দেওয়ার বিষয় রয়েছে। আশা করি সোমবার ইতিবাচক কিছু একটা হবে।’’
২০১৬ সালের এসএলএসটি (শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা) চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত হয়ে গেলেও নতুন মামলায় তা আটকে রয়েছে। নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকার শূন্যপদও তৈরি করেছিল। এ ব্যাপারটি গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করেছিলেন করেছিলেন কুণালই। কিন্তু আইনি জটে নিয়োগ কার্যকর হয়নি। বস্তুত, পর্ষদও হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, এই প্যানেল বৈধ। এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল বলেছিলেন, ‘‘সুপারিশপত্র পেয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, এমন এক জনের নামে মামলা করা হয়েছে, যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ কুণাল আরও বলেছিলেন, ‘‘কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করছেন। আমি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে গেলে তাঁরা ডেপুটেশন (স্মারকলিপি) দেন। তা আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীকে হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। কোর্টের স্থগিতাদেশ না-উঠলে নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।’’
এর আগে এসএলএসটির এই চাকরিপ্রার্থীরাই সল্টলেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরে তাঁরা দেখা করেছিলেন কুণালের সঙ্গেও। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসাবেই বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে জোড়া বৈঠকেও হাজির ছিলেন কুণাল।