কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর : একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আদালতের নির্দেশে প্রিয়াঙ্কা সাউ নামে এক বঞ্চিত প্রার্থীর চাকরির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল।
বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বলে, এদিনই আবেদনকারী ও তাঁর আইনজীবীকে নিয়ে বৈঠক করে আদালতকে ` আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট দিতে হবে। কমিশন সময় চাইলে বিচারপতি বলেন, পুজোর আগে চাকরি দিন। এঁরা অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। বিচারপতির নির্দেশ মেনে এদিনই বিকেল পাঁচটায় সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কমিশন।
যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির নিরিখে কোচবিহারের ববিতা সরকারের দেখানো পথে হেঁটে সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছেন আর এক চাকরিপ্রার্থী। অঙ্কিতা অধিকারী বনাম ববিতা সরকার। এসএসসিতে যোগ্য প্রার্থীর চাকরি পাওয়া নিয়ে ববিতা সরকারের আইনি লড়াই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মন্ত্রীকন্যার চাকরি বাতিল হয়ে মেখলিগঞ্জের ওই স্কুলে ওই পদেই চাকরি পান ববিতা। শুধু তাই নয়, যেদিন থেকে তাঁর চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, শুধুমাত্র বঞ্চনার কারণে তা হয়নি, সেই দিন থেকেই ববিতার বকেয়া বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ইতিমধ্যে সেই টাকা পেয়েও গিয়েছেন তিনি।
আদালত সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কা সাউ মেধা তালিকায় বেশি নম্বর পেয়েও চাকরি পাননি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, ২০১৭ সালে মেধা তালিকা অনুযায়ী মূলত মহিলা বিভাগে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। অন্যদের নম্বর বেশি থাকায় প্রিয়াঙ্কাকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই তাঁকে অপেক্ষা তালিকা বা ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়েছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আদালত মনে করছে, প্রিয়াঙ্কার দাবির যৌক্তিকতা আছে। প্রসঙ্গত, ববিতা সরকার মামলায় প্রিয়াঙ্কা সাউ ছাড়া আরও ২০ জন আবেদনকারী সংযুক্ত হয়ে চাকরির আবেদন জানান। ওই ২০ জনের আবেদনের শুনানি হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ববিতাকে টপকে অঙ্কিতাকে চাকরি দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে মন্ত্রী-কন্যার চাকরি চলে যায়। সেখানে চাকরি পান ববিতা।