কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর : কয়লাপাচার মামলায় প্রথমে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ঘিরে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। দিল্লির বদলে কলকাতায় কেন তলব নয়— এই প্রশ্ন তুলে মামলা করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন সবে অভিষেক।
এই নির্দেশের পরেই কলকাতায় চলে তলব। তবে স্বস্তির সপ্তাহ পেরতে না পেরোতেই ইডি-র তলব পড়ে 'বন্দ্যোপাধ্যায়' পরিবার ছাড়িয়ে 'গম্ভীর' পরিবারে। ইডি-র তলবের মুখোমুখি হতে হয় অভিষেক-শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও। আর সেখানেই 'আদালতের নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছে', অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা। অর্থাৎ, ব্যাঙ্কক যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানোর ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর।
শুক্রবার হাই কোর্টে মেনকার আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, আদালতের ‘রক্ষাকবচ’ থাকা সত্ত্বেও মেনকাকে আটকানো হয়। এতে আদালত অবমাননা হয়েছে। সেই মামলায় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 'এখনই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ নয়। অভিযুক্ত অবমাননাকারীদের বক্তব্য শোনার পরেই পরবর্তী নির্দেশ', বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। তবে, বিচারপতি মেনকার বিরুদ্ধে ‘কড়া পদক্ষেপ’-এর যুক্তি মানতে চাননি। তিনি জানান, এটাকে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ‘কড়া পদক্ষেপ’ বলা যায় না। বরং, ‘হয়রানি’ বলা যেতে পারে। শুক্রবার সেই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। মেনকার আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্যকে সেই নোটিস পাঠাতে বলেছেন বিচারপতি।