দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জোর কদমে চলছে নিউ গড়িয়া - বিমানবন্দর অরেঞ্জ লাইনের কাজ। এবার মেট্রো যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর। ওই লাইনের বিমানবন্দর - হলদিরাম সেকশনে চলতি বছরের শেষের দিকে পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা করছে মেট্রে রেল কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্র মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কমলা লাইনে অন্য দিক থেকেও পরিষেবা শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জয় হিন্দ (বিমানবন্দর) স্টেশন ও ভিআইপি রোড স্টেশনের কজের অগ্রগতি পরদর্শন করেছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি। ভিআইপি রোডের র্যাম্প ডাউন পয়েন্ট, বক্স পাঞ্চিং লোকেশন, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) প্রাঙ্গণের ভিতরের ভূগর্ভস্থ কাট এবং কভার অবস্থান সহ বিভিন্ন বিষয়গুলি পরিদর্শন করেছেন তিনি। কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে সন্তোষ প্রকাশও করেছেন রেড্ডি। একইসঙ্গে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার উপরেও গুরুত্ব দেন তিনি। এরপরেই সর্ভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন রেড্ডি। যদিও নির্দিষ্ট করে কোনও সময় বলা হয়নি।
এদিকে এর মাঝে হলুদ লাইনের নোয়াপাড়া - এয়ারপোর্ট সেকশন চালু হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এয়ারপোর্ট স্টেশনটি হতে চলেছে হলুদ ও কমলা লাইনের ইন্টার চেঞ্জিং স্টেশন। প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মেট্রো পথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরবর্তীতে তা শুরু হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অনেক সময়ই বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে মেট্রো প্রকল্পকে। এই বিষয়ে মেট্রোর জি এম জানান, বিমানবন্দর - ভিআইপি সেকশন নিয়ে বিকল্প পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে, যাতে ওই লাইনে দু'দিক থেকেই পরিষেবা দেওয়া যায়।
কমলা লাইনে বর্তমানে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত পরিষেবা চালু রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরিষেবা বাইপাসের উপরে মেট্রোপলিটন পর্যন্ত দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নিউ গড়িয়া হল কমলা ও নীল লাইনের ইন্টার চেঞ্জিং স্টেশন।
উল্লেখ্য, শহর কলকাতার বুকে ইতিমধ্যেই একাধিক রুটে চালু মেট্রো পরিষেবার। তার মধ্যে গঙ্গার নীচ দিয়ে পরিষেবা চালু বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। পাশাপাশি এরাও বেশকিছু সেকশনে কাজও চালাচ্ছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, তারই অন্যতম এই অরেঞ্জ লাইন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে এই অরেঞ্জ লাইন পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে যাত্রীদের যাতায়াতে আরও অনেকটাই সুবিধা হবে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ।