দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্দেশখালির পথে জায়গায় জায়গায় তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির আগে বামনপুকুর বাজারের কাছে রাজ্যপালকে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীদের একাংশ। কেন্দ্র কেন বকেয়া টাকা দিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কিছুটা সময়ের জন্য দাঁড়িয়েও পড়ে রাজ্যপালের কনভয়। পরে আবার সন্দেশখালির দিকে রওনা দেয়।তাঁদের দাবি, আগে ১০০ দিনের বকেয়া মজুরির ব্যবস্থা করুন রাজ্যপাল।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন বোস। তার পর সেখান থেকে তিনি সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। মালঞ্চের কাছে পৌঁছতেই রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলারা। রাস্তার দু’পাশে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর দাবি তোলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিক্ষোভ করতে করতে রাজ্যপালের কনভয়ের সামনে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে বোসের কনভয় থেমে যায়। মিনিট পাঁচেক রাস্তায় আটকেও ছিল কনভয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বেরোতে পারেন রাজ্যপাল।
সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যপাল বোসকে পদক্ষেপ করার জন্য শনিবার ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা ‘বেঁধে’ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাচক্রে তার পরেই রবিবার কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে বোসের সন্দেশখালি যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় রাজভবন। শুধু তা-ই নয়, রাজভবন জানিয়েছে, সম্প্রতি যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের থেকে সবিস্তার রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। সন্দেশখালির ঘটনাবলি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারেরও আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।