কলকাতা, ২০ জানুয়ারি : কাউন্সিলর পদ খারিজ নিয়ে আদালতে যাবেন বলে ২৪ ঘণ্টা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ঝালদার শীলা চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
পদ খারিজের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেয় আদালত। শুক্রবারই এই মামলার শুনানি হবে। ফলে ঝালদা পুরসভার জটিলতা যে আরও একবার আইনি জটে জড়াতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
পুরভোটের ফল প্রকাশ ইস্তক জটিলতার জটে জেরবার ঝালদা পুরসভা। বিশেষ করে প্রথম থেকেই নির্দলের দুই কাউন্সিলরের ভূমিকা আলাদা করে উল্লেখ করার মতো। কখনও তারা জোড়াফুলকে সমর্থন দিচ্ছে, কখনও আবার হাত বাড়াচ্ছে ‘হাত’ দেখে। কখনও তৃণমূল, কখনও কংগ্রেস, নির্দলদের মুহূর্মুহু শিবির বদলে বোর্ডটাই আর তৈরি করে উঠতে পারছে না কোনও দল। সঙ্গে আবার প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ। পুরসঙ্কট কাটার কোনও লক্ষণই নেই।
১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভা। পুরভোটের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস ৫টি আসন পায়, তৃণমূলও পায় ৫টি আসন। বাকি ২টি জেতে দুই নির্দল প্রার্থী। দুই নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকারের সমর্থনেই প্রথমে বোর্ড তৈরি করেছিল তৃণমূল। কিছুদিন পরই সোমনাথ কর্মকার সরব হন, ঝালদায় কোনও উন্নতি হচ্ছে না। তিনি সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও ঘোষণা করেন। এরপর একই যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূলের বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান শীলাও।