দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পর শিশুসাথী প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার শিশুর জন্মগত হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার প্রাপ্য অর্থ বন্ধ করল দিল্লি! স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এহেন অবস্থানের ফলে শিশুসাথী প্রকল্পে অসুস্থ শিশুদের হার্টের চিকিৎসা নিয়ে তীব্র সংশয় সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। জরুরি ভিত্তিতে অবস্থা সামাল দিতে অস্ত্রোপচার চালু রাখতে নবান্ন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে খবর। স্বাস্থ্য দপ্তর শিশুদের চিকিৎসার জন্য আর দিল্লির ভরসায় না থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে শিশুসাথীকে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নবান্নের খবর, অর্থ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে।
হকের টাকা চেয়ে স্বাস্থ্য ভবন দিল্লিকে কয়েকদফা চিঠি দিয়েছে। কিন্তু বরফ গলেনি। সাফ জানানো হয়েছে, ‘শিশুসাথী’র বদলে ‘রাষ্ট্রীয় বাল সুরক্ষা কার্যক্রম’ ব্র্যান্ডে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অন্যথায় প্রকল্পের ৬০ ভাগ টাকা বন্ধ থাকবে। এমনকী বিগত অর্থবর্ষে এই খাতে যত শিশুর চিকিৎসা হয়েছে তাও ‘রাষ্টীয় বাল সুরক্ষা কার্যক্রম’ হেডে নতুন করে পাঠাতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্য বকেয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিস্ময়কর ঘটনা হল, স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার সময় কেন্দ্রের আমলারা জানিয়েছেন সব বুঝতে পেরেও তারা নিরুপায়। উপরমহলের নির্দেশ অবহিত করাই তাঁদের কাজ। জন্মগত হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্মানো শিশুর বয়স ১-১৮ বছর হলেই হার্ট অপারেশন করে ভালভ মেরামত করতে হয়। আবার অনেক শিশুর হৃদযন্ত্রে ফুটো বা অপরিণত থাকে তাঁদের ও অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসা করতে হয়।