দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল প্রতিটি থানা সংলগ্ন এলাকাকে ক্যামেরার নজরদারির অধীনে আনার, সেই নির্দেশ মতো গত বছর কলকাতা পুলিশের ২৪টি থানায় বসানো হয়েছিল কয়েকশো সিসি ক্যামেরা। কিন্তু অভিযোগ, প্রথম দফার পরে গোটা একটা বছর শেষ হতে চললেও বাকি থানায় আর কোনও সিসি ক্যামেরা বসানোই হয়নি।
লালবাজারের দাবি, কলকাতা পুলিশের বাকি থানাগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। যার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। কিন্তু সেই প্রস্তাব আর দিনের আলো দেখেনি। যার ফলে আদালতের নির্দেশ থাকলেও এখনও কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ বহু থানাতেই সিসি ক্যামেরার নজরদারি নেই।
গত বছর যাদবপুর, পর্ণশ্রী, পাটুলি-সহ ২৪টি থানা চত্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো ওই ২৪টি থানায় ঢোকা ও বেরোনোর পথে, মূল গেটে, লক-আপের ভিতরে ও বাইরে, লবি, করিডর, রিসেপশন, ইনস্পেক্টর বা ওসি এবং সাব-ইনস্পেক্টর ও অফিসারের ঘরে, ডিউটি অফিসারের ঘরে, শৌচাগারের বাইরে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের ঘরে ও থানার পিছনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, অর্থাভাবের কারণে বাকি থানা চত্বরগুলিতে এ ভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা থাকলেও তা হয়নি।
এক পুলিশকর্তা জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে থানার ১৪টি জায়গায় ক্যামেরা বসাতেই হবে। পুলিশের আধুনিকীকরণের তহবিলের টাকা দিয়ে প্রথম দফায় ওই ক্যামেরা বসানোর কাজও হয়েছিল। কিন্তু পরের দুই দফায় ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রস্তাব আকারে টাকা চাওয়া হলেও তার ছাড়পত্র মেলেনি। তাই বাকি থানায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ আজও অসম্পূর্ণ। পুলিশের একাংশের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে ওই ক্যামেরা বসানো হলে তাতে যেমন স্পষ্ট ভাবে রাতের ছবি দেখা যাবে, তেমনই কথপোকথনও শোনা যাবে।
তবে বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, সরকারি ভাবে তিন জায়গায় ক্যামেরার নজরদারির সঙ্গেই থানার অফিসারেরা নিজেদের খরচে বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে নিয়েছেন। যদিও পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ক্যামেরা বিভিন্ন থানায় বসানো হলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক ভাবে হয় না। এর জন্য আধিকারিকদেরই দায়ী করছে তারা।