দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে তামার খনিতে লিফট ছিঁড়ে প্রায় ২ হাজার ফুট গভীর খাদে পড়ে মৃত্যু হল উপেন্দ্র পান্ডের। তিনি চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার হিসেবে খনি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তবে আটকে থাকা বাকি ১৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে হিন্দুস্তান কপার লিমিটেডের কয়েকজন আধিকারিক খনি পরিদর্শনে নামার সময় হঠাৎই লিফটের বেল্ট ছিঁড়ে যায়। খনির নীচে আটকে পড়াদের মধ্যে কয়েকজন কলকাতার বাসিন্দাও ছিলেন।এইচসিএল সূত্রের দাবি, তাদের চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার উপেন্দ্র পান্ডে গুরুতর আহত হয়ে মারা গিয়েছেন। তিনি কলকাতায় এইচসিএল-এর সদরে কর্মরত ছিলেন। আরও ১৪ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে।
এইচসিএল সূত্র জানাচ্ছে, তাদের কোলিহান খনিতে দড়ি ছিঁড়ে প্রায় ১৯০০ ফুট উপর থেকে পড়েছিল লিফট। পরিস্থিতি সামলাতে রাতভর উদ্ধার কাজ চালায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে পুরোটা শেষরক্ষা হয়নি। ১৪ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝুন্ঝুনু জেলার সরকারি হাসপাতালে ও পরে জয়পুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন জন এখনও জয়পুরে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় আধিকারিকেরাও কলকাতা, দিল্লির কর্তাদের সঙ্গে খনি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
এইচসিএল-এর তরফে বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কেউ মন্তব্য করতে চায়নি। জানানো হয়েছে, দেশে আদর্শ নির্বাচনী বিধি চালু আছে। যা বলার কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রকের তরফে বলা হবে। রাত পর্যন্ত খনি মন্ত্রকের তরফে কোনও বিবৃতি আসেনি।
তবে স্থানীয় খেতড়ি থানার ওসি ভাঁওয়ার লাল বুধবার বলেন, “খনি পরিদর্শনে আসা দলটির মধ্যে দিল্লি ও কলকাতার লোক ছিল। সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দিই। শুধু এক জন ছাড়া বাকিদের বাঁচানো গিয়েছে।’’ পুলিশের স্থানীয় একটি সূত্রের মতে, সরু, অন্ধকার সুড়ঙ্গে এক-এক জন করে বিপন্নদের বের করা হয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে কাজটা করতে সময় লাগে। সবাইকে বের করে আনতে বুধবার প্রায় ভোর হয়ে যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ঝুন্ঝুনু জেলার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক প্রবীণ শর্মা বলেন, ‘‘তিন জনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া অনেকেরই হাত, পা ভেঙেছে।’’