কলকাতা, ২৫ সেপ্টেম্বর : চতুর্থী থেকেই বাস-মিনিবাস চলাচলের জন্যত খুলে দেওয়া হতে পারে টালা ব্রিজ। বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের পর শনিবার থেকেই ছোট গাড়ি চলা শুরু হয়ে গেল টালা ব্রিজ দিয়ে। এবার আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই এই ব্রিজের উপর দিয়ে বাস চলার ছাড়পত্র মিলতে পারে। অন্তত প্রশাসনসূত্রে তেমনটাই খবর।
সংস্কারের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । টালা সেতু পুজোর আগে উদ্বোধন করার পিছনে প্রশাসনের মূল ভাবনা ছিল ভিড় সামলানো। উত্তর কলকাতার কিছু অংশ ও উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মূল সূত্র ছিল এই সেতু। তা বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। উদ্বোধনের পর শনিবার থেকেই ছোট গাড়ি চলা শুরু হয়ে গেছে টালা ব্রিজ দিয়ে । কিন্তু এখনও বাস-ট্রাকের মতো ভারী যান চলাচলের ছাড়পত্র মেলেনি। সেতু চালু হলেও যেহেতু এখন বাস চলাচল বন্ধ তাই খুব একটা সুরাহা সাধারণ মানুষের হয়নি। সেকথা ভেবেই চতুর্থী থেকেই বাস-মিনিবাস চলাচলের জন্যহ খুলে দেওয়া হতে পারে টালা ব্রিজ। প্রশাসনসূত্রে খবর আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই এই ব্রিজের উপর দিয়ে বাস চলার ছাড়পত্র মিলতে পারে। তবে রাজ্যের পরিবহণ দফতর, পূর্ত দফতর, কলকাতা পুরসভা, এবং কলকাতা পুলিশ একত্রে নবনির্মিত সেতুর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, টালা সেতুর উদ্বোধনের দিন দশেক আগে বাস মালিকদের সংগঠন পরিবহণ দফতরের কাছে উদ্বোধনের পরে এই সেতুতে বাস চালানোর অনুমতির জন্য আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু তখন রাজি হয়নি প্রশাসন। তাই প্রাথমিকভাবে আপাতত ছোট গাড়ি দিয়ে শুরু হল নবরূপে টালা সেতুর পথচলা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়। ওই বছরের এপ্রিলে শেষ হয় সেই কাজ। তার পর সেতু সংস্কার শুরু হয়। টালা সেতুর সংস্কারের জন্য মোট ৪৬৫.১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৭৪৩.৪৩ মিটার লম্বা টালা সেতু প্রায় আড়াই বছর পর ফিরে পেল শহর। ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যা সোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, “আমরা এই সেতুর উপর দিয়ে বাস চালানোর আবেদন জানিয়ে পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। যা খবর পাচ্ছি, ২৯ তারিখ থেকে ছাড়পত্র মিলতে পারে।”