আসানসোল, ৩০ আগস্ট : গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।এছাড়া সেখানেই রয়েছেন তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। মঙ্গলবার জেলে গিয়ে তাঁদের জেরা করে সিবিআই। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তিন সদস্যের দল আসানসোল সংশোধনাগারে যায়। এদিকে তদন্তে অনুব্রত সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সিবিআই আধিকারিক।
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকদের তিন জনের একটি দল পৌঁছে যায় আসানসোল সংশোধনাগারে। সংশোধনাগারে এক আধিকারিক প্রবেশ করেন অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। তাঁর হাতে ছিল একগুচ্ছ নথি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গোরু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে অনুব্রতের মেয়ে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ওই তদন্তকারী সংস্থা। তা নিয়েই এদিন অনুব্রতকে সিবিআই আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে একজন আধিকারিক জেলে গেলেও বাকিরা আসানসোল আদালতে গিয়েছিলেন। এদিকে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে ওই একজন সিবিআই আধিকারিকই সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করেন অনুব্রতকে। পাশাপাশি অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও জেরা করা হয়েছে। যদিও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। জেরা শেষে বেরিয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সিবিআই আধিকারিক।
উল্লেখ্য, ২৪ অগাস্ট আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই তখন থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন। এর মাঝে একদিনের জন্য শারীরিক পরীক্ষা করতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তবে গোরুপাচার মামলায় আগে থেকেই সংশোধনাগারে রয়েছেন সায়গল। পাঁচ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সিবিআই প্রথমবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে জেরা করল।