দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কুণাল ঘোষকে সারদার আরও একটি মামলায় সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা করল এমপি এমএলএ স্পেশাল কোর্ট। র্তমান তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই মামলার সঙ্গে জড়িত নয় বলেই ঘোষণা আদালতের তরফে। আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলার দীর্ঘ শুনানি করেন।
বিচারক জয়গোপাল রায় আজ রায়দানে কুণাল ঘোষকে যাবতীয় অভিযোগমুক্ত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে 409 ধারাও প্রযোজ্য নয় বলে রায় দেয় আদালত। অন্যদিকে, পার্ক স্ট্রিট থানার 2013 সালের এই মামলায় এদিন নিজের দোষ স্বীকার করে নেন সুদীপ্ত সেন। যেহেতু 406 ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি 3 বছর এবং সুদীপ্ত তার বেশি সময় বন্দি আছেন, তাই তাঁর গিলটি পিটিশন গ্রহণ করেও মামলা থেকে মুক্ত বলে রায় দেন বিচারক।
এর আগে সারদার আরও একটি মামলায় মুক্তি পেয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সারদা মিডিয়ার বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া সাঁতরাগাছিতে দায়ের হওয়া সারদার একটি মামলায় কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ হয়। রাজ্য পুলিশ কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল। গত ২০১৩ সালে কুণাল ঘোষ সারদা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। রাজ্য পুলিশের বর্তমান আইজি রাজীব কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছিল। মামলার তদন্তে নেমে রাজীব কুমারের নেতৃত্বধীন সিট কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল। দীর্ঘসময় জেলেও থাকতে হয়েছে তাঁকে। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়েছিলেন।
২০১৩ সালে গোটা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল সারদা মামলা। সারদা চিট ফান্ড মামলায় রাজ্যের প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। সারদা মামলায় প্রথমে রাজ্য সরকারের নির্দেশে সিট গঠন করে তদন্ত করা হয়েছিল। এরপর এই মামলা যায় সিবিআইয়ের হাতে। দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে এই মামলার তদন্ত হয়ে আসছে। এর আগে সঠিক প্রমাণ দিতে না পারার জন্য আদালতের ভর্ৎসনা মুখে পড়তে হয়েছিল সিবিআইকে। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন দীর্ঘদিন ধরেই জেলবন্দী হয়ে আছেন। সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক নয়ছয় নিয়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি, গ্রেফতার হলেও এই মামলার এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি। এই সারদা চিট ফান্ড কেস নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও নেহাত কম হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই সারদা মামলা একসময় বিরোধীদের প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কালের নিয়মে সারদা মামলা নিয়ে চর্চা থিতিয়ে যায়।