দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ধীরে ধীরে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। জলের তলায় ক্রমশ চলে যাচ্ছে কলকাতা। সম্প্রতি গবেষণায় এমনই এক রিপোর্ট সামনে এসেছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সারা ভারতবর্ষের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এনভায়রনমেন্টাল রিফিউজি হয়ে পড়বেন। তার পরবর্তী ১০ বছরে ওই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৪৩ কোটিতে।'
পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। তারপর কলকাতা সহ বাংলার বৃহদাংশ জলের অতলে তলিয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদরা বলেন, ‘কলকাতার মাটির তলা থেকে ধীরে ধীরে পলি রাশি সরে যাচ্ছে। কলকাতার মাটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে সমুদ্রের জলস্তরের পরিমাণ অতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এভাবে জলস্তর বাড়তে থাকাটা কলকাতার জন্য ভয়ংকর। শুধুমাত্র কলকাতা নয়। ভারতবর্ষের উপকূলবর্তী এলাকার ১২টি শহর তলিয়ে যেতে পারে আগামী ১২-১৫ বছরের মধ্যে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমবাহ গলে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। কয়েকফুট পর্যন্ত বাড়বে সমুদ্রের জলতল। সমুদ্রের জলস্তর বাড়লে নদীতে নোনা জল ঢুকতে শুরু করবে। উপকূলীয় শহরগুলির জন্য যা মারাত্মক হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কার্বন ডাই অক্সাইডের লেভেল বাড়ছে, সাথে কমছে অক্সিজেনের পরিমাণ। বরফের স্তর গলছে। হিমবাহগুলি গলে যাচ্ছে দ্রুত। আর তাতেই ঘটছে বিপদ। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের বেশ খানিকটা অঞ্চল শুধুমাত্র টিকে থাকবে।'
ভূতত্ত্ববিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, মাটির তলার যে অংশগুলি সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত, তার গভীরতা আমাদের উপকূলে প্রায় ৮৬ মিটার পর্যন্ত। এই ৮৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন এলাকাকে মাটির নিচ দিয়ে ব্যারিকেড করে দিতে হবে। যাতে সমুদ্রের জল মাটির ক্ষয় করতে না পারে। তাছাড়া দূষণ রুখে দেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি। দূষণ কমিয়ে আরও ৮০ বছর যদি চালানো যায়, তবে বিষয়টি রোধ করা সম্ভব।