গত ১০ সেপ্টেম্বর সাতসকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর তদন্তকারীদের হাতে আসে বান্ডিল বান্ডিল টাকার নোট। ওইদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ গোনা টাকা সাড়ে আট কোটি পৌঁছয়।এসঅ্যান্ডআইবি’র পার্সেল ভ্যান তলব করা হয়। দশটি ট্রাঙ্ক নিয়ে ভ্যান আসে। সন্ধে সাড়ে সাতটার পর জানা যায়, টাকার পরিমাণ ১৭ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। রাত ৯টা নাগাদ নোট গণনা শেষ হয়। জানা যায় মোট অর্থের পরিমাণ ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ। তারপর থেকে একাধিক জায়গায় গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা। অবশেষে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান। অনলাইন গেম প্রতারণার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতার নিয়ে আসার কথা রয়েছে তাকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মোবাইল গেমিং অ্যাপের মারফত মোটা রোজগারের টোপ দিয়ে শিকার ধরা হয়। প্রথম ধাপে অত্যন্ত সহজ কিছু প্রশ্ন বা ধাঁধা, যার সমাধান করলেই বড় অঙ্কের ইনাম। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেমেয়েরা আকৃষ্ট হয়ে ফাঁদে পা দেয়। এরপর অ্যাপের তরফে হাজার পাঁচেক টাকা জেতার লোভ দেখানো হয়। কিছু টাকা খুব সহজে জিতে অনেকে টোপ গিলে পরের ধাপে পা বাড়ায় ও সর্বস্বান্ত হয়। অ্যাপের তরফে জানানো হয়, গোড়ায় বেশি টাকা খাটালে পরে আয় আরও বাড়বে। শিকার লোভে পড়ে মোটা টাকা দিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে! স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপ ডিঅ্যাক্টিভেটেড হয়ে যায়, খিলাড়ির আর তাতে ঢোকার পথ থাকে না। তার টাকা হস্তগত করে অ্যাপওয়ালা নাগালের বাইরে।