দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসন্দেশখলিতে ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়ানো হচ্ছে, এই অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল ও তাঁর ছেলে জ্যোতির্ময় কয়াল। অভিযোগ, বিজেপি নেতার ছবি ব্যবহার করে ফেক ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এমন প্রচুর ফেক ভিডিয়ো ছড়ানো হয়েছে। তার ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ। সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন কিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন জানান হয়।এই বিষয়ে বিচারপতি বলেন, 'কী করে সিবিআই সরাসরি এই ভাবে মামলা নেবে? তাছাড়া সন্দেশখালির সব মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়ের হোক। সোমবার শোনা হবে।'
এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর আরও কিছু ভিডিয়ো পর পর প্রকাশ্যে আসে। যেখানে সন্দেশখালির মহিলারা দাবি করছেন, তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে, ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে। গঙ্গাধর কোন ভিডিয়োটির বিরোধিতা করে হাই কোর্টে গিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রথম ভিডিয়োটিতেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল। আদালতে নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছেন গঙ্গাধর। আবেদনপত্রে তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
‘স্টিং ভিডিয়ো’ প্রকাশ্যে আসার পর অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। কারণ, ওই ভিডিয়োতে গঙ্গাধরকে একাধিক বার শুভেন্দুর নাম বলতে শোনা গিয়েছে। তাঁর কথাতেই ধর্ষণের অভিযোগ এবং আন্দোলন সাজানো হয়েছে বলে ভিডিয়োয় দাবি করেছেন গঙ্গাধর।
ভিডিয়োটি প্রথম থেকেই ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে। গঙ্গাধরের মুখে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে কথা। এর সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। গঙ্গাধরও ইতিমধ্যে তাঁর অভিযোগের কথা সিবিআইকে জানিয়েছেন। তার পর তিনি হাই কোর্টে মামলা করলেন।
ভিডিয়োটি ঘিরে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, এ ভাবে সন্দেশখালির আন্দোলন ‘সাজিয়ে’ দেশের কাছে বাংলার ভাবমূর্তি কলুষিত করেছে বিজেপি। মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। বিজেপির সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়েও কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল। তাদের অভিযোগ, দোষ আড়াল করতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে আশ্রয় চাইছে বিজেপি।