দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের চাপ বাড়ছিল। কিন্তু ভোটের মধ্যে পরপর ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলি পাল্টা চাপ তৈরি করেছে বিজেপির উপর। স্থানীয় নেতা গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই বাড়ে। যে ভিডিওতে দাবি করা হয়েছিল, সন্দেশখালি বিজেপির সাজানো ঘটনা। এরপর আরও একটি ভিডিও সামনে আসে যেখানে এক মহিলাকে একই অভিযোগ করতে শোনা যায়।এই ভিডিও ইস্যু গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আলাদাভাবে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ সন্দেশখালির এক মহিলা।
সন্দেশখালির ভিডিও নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। ভাইরাল ভিডিওর বিষয় নিয়ে আবার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন সন্দেশখালির এক মহিলা। সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। সন্দেশখালির মূল মামলার সঙ্গে গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিও সংক্রান্ত বিষয় এবং এই মহিলার করা মামলাটি যুক্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সন্দেশখালি সংক্রান্ত মূল মামলাটির শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলছে।
সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার বিরোধিতা করে সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়েও কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সু্প্রিম কোর্ট। এই মামলার শুনানি আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার গঙ্গাধরের মামলার শুনানি হওয়ার কথা কলকাতা হাইকোর্টে।
পরপর ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। ওই ঘটনায় চারজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি, ধৃত এই চারজন বিজেপি কর্মী গোলমালের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূল পরিকল্পনা করিয়ে পুলিশকে দিয়ে তাদের গ্রেফতার করিয়েছে! সোমবার ভোট শেষের পর বিকেলে সেই গ্রেফতারির প্রতিবাদেই পথে নামেন সন্দেশখালির মহিলারা। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গেও বচসা হয় তাঁদের।
গত ৪ মে-র পর থেকে এখনও পর্যন্ত সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সোমবারই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ''এইসব ভিডিও করার পিছনে ভাইপোর মস্তিষ্ক রয়েছে। আইপ্যাককে দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে।'' রাজ্যের পুলিশও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে দাবি শুভেন্দু।