কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর : নিউ মার্কেটের ১৫০ বছর উপলক্ষে ঐতিহ্যের এই বাজারকে ঢেলে সাজাতে চায় কলকাতা পুরসভা। ঠিক হয়েছে, এটির ‘ক্লক টাওয়ার’ মেরামত করা হবে। পুনরুদ্ধার করা হবে এর সম্মুখভাগ। বাজারে গ্রাহকদের অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে আশেপাশের রাস্তাগুলি হকারদের থেকে তুলে দেওয়া হবে।
২০২৪ সালে বাজারের সার্দ্ধশতবর্ষ হবে। তার আগে এলাকার ভোল ফেরানোর লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা হয়েছে। সোমবার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঐতিহ্যের স্থানটি যাতে তার গর্বের জায়গা ফিরে পায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন এবং কলকাতা পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কলকাতার অনেক নতুন শপিং মল এবং বাজার হলেও নিউ মার্কেটকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এমন কেন্দ্র বিরল। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে পুরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন বাজার বেহাল অবস্থা। ক্লক টাওয়ারটি ভেঙে পড়েছে। বাজারের বাইরের দেয়াল বরাবর প্লাস্টিকের আচ্ছাদন স্তূপীকৃত। হকাররা আশেপাশের অংশ দখল করে রেখেছে।
অগ্নিকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নিউ মার্কেট। হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন বলেন, “আমরা বাজারটির গৌরব পুনরুদ্ধার এবং পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লিন্ডসে স্ট্রিটের বাইরে বাজারের প্রবেশপথে একটি ফলক স্থাপন করা হবে। এতে বর্ণনা করা হবে বাজারটির বর্ণাঢ্য ইতিহাস। হেরিটেজ কমিশনের সদস্য এবং ইতিহাসবিদ সুগত বোস এই লেখার খসড়া তৈরি করতে সাহায্য করবেন।
ক্লক টাওয়ার এবং বাজারের সম্মুখভাগের পুনরুদ্ধারের তত্ত্বাবধান করবেন সংরক্ষণ স্থপতি পার্থ রঞ্জন দাস। তিনি জানিয়েছেন, "আমরা বিশদ বিবরণ এবং হিসাবের পরিকল্পনা করার আগে ক্লক টাওয়ার এবং নিউ মার্কেটের কাঠামোর একটি সমীক্ষা করব।
হেরিটেজ মার্কেটে হকারদের ভিড়ের বিষয়টিও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা তুলেছেন। সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে আশেপাশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নির্দেশ দেন। কিন্তু হকার তোলা যায়নি। কেএমসি বাজার বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে এলাকার জন্য একটি ব্যাপক ‘হকার নীতি’ তৈরি করতে হবে। ঠিক হয়েছে, সংলগ্ন বারট্রাম স্ট্রিট, হুমায়ুন প্লেস এবং লিন্ড-সে স্ট্রিটে পার্কিং লট অর্থাৎ গাড়ি রাখার জায়গা পুনরুদ্ধার করার জন্য নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। কিন্তু উৎসবের মরশুমে এই দখলদার হকারদের সরানোর কাজ একবিন্দু এগোবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিভিন্ন মহলে।