দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: গরমকাল মানেই আমাদের ত্রাসের সময়। এই সময় একদিকে প্রকৃতি জগৎ ভরে ওঠে নানা ব্যাকটেরিয়ায় আবার তীব্র দাবদাহে শুরু হয় নানান শারীরিক সঙ্কট। তাই পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা, পাঁচ ধরনের খাবার এই গরমের মরশুমে খাদ্য তালিকায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
১) ভিটামিন সি: ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং উপকারী। ত্বক সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন। গরমের সময় আমাদের ত্বক সবচেয়ে বেশি অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসে, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের উৎপাদন এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়াতে পারে। তাই যেকোনো ধরনের লেবু ও ব্রকলি,পেঁপে খাদ্য তালিকায় রাখুন।
২) ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর খাদ্য: কার্যকারিতা ঠিক রাখার জন্য ম্যাগনেশিয়াম অপরিহার্য। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ইমিউনিটি শক্তিশালী করে তোলে। গরমের সময় প্রচুর ঘাম হয়, যে কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। তাই চিয়া বীজ, আমন্ড, পালং শাক, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, সয়া দুধ, ডার্ক চকোলেটের মতো ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে পারেন।
৩) পটাশিয়াম যুক্ত খাদ্য: ম্যাগনেশিয়ামের মতো, পটাশিয়ামও এক ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট এবং শরীরে তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সুস্থ পেশী এবং স্নায়ু কার্যকারিতা উন্নত করে। গরমকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পটাশিয়াম বেরিয়ে যায়। এই সময় বিনস, মসুর ডাল, ব্রকোলি, অ্যাভোকাডো, কলা, ড্রাই ফ্রুটস যেমন কিশমিশ এবং এপ্রিকট - এগুলি পটাশিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। রোজের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন।
৪) জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাদ্য: জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার গরমকালে বেশি পরিমাণে খান। ইমিউনটি বাড়াতে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে জিঙ্ক। তাই রোগ প্রতিরোধ করতে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক গ্রহণ করুন। কর্নফ্লেক্স, দই, কাজুবাদাম, বাদাম, আস্ত শস্যদানা, কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।
৫) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য: পেশী, হাড়, হরমোন এবং অ্যান্টিবডি-সহ শরীরের প্রতিটি কোষ প্রোটিন থেকে তৈরি! তাই শরীরের প্রতিটি কোষের প্রোটিন খুবই প্রয়োজন। শারীরিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্যও প্রোটিন অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার, ডিম, দুগ্ধজাত পণ্য, ডাল, বীজ এবং বাদাম প্রোটিনে ভরপুর। তাই এই সব খাবার অবশ্যই রাখুন ডায়েটে।
সর্বোপরি অবশ্যই পর্যাপ্ত মাত্রায় জল পান করুন আর এই গরমে সুস্থ থাকুন।