দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাতে পর্দা নেমেছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর। প্যারিস দেখেছে বেশ কিছু ভালো মুহূর্ত। প্যারিস অলিম্পিকের সেরকমই সেরা পাঁচটি মুহূর্ত।
ভারত-পাকিস্তানের লড়াই : সব আন্তর্জাতিক গেমসেই থাকে ভারত–পাকিস্তান লড়াই। তবে এই লড়াই ক্রিকেটের নয়, দুই দেশের মধ্যে অলিম্পিকে এই লড়াই ছিল অ্যাথলেটিক্সে। ক্রিকেটের মত এই প্রতিযোগিতাতে দুই দেশের সমর্থকদের ঘিরে এমনকি অলিম্পিকেও ছিল উত্তেজনার আচ। গতবারের টোকিও অলিম্পিকের সোনা জয়ী নীরজ চোপড়াকে টানটান উত্তেজনার মধ্যে জ্যাভলিন থ্রোতে হারালেন পাকিস্তানের আরসাদ নাদিম। অলিম্পিকে এই দুই দেশের দ্বৈরথ অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জোকোভিচের সাফল্য ও কান্না: ৩৭ বছর পর প্রথম অলিম্পিকে সোনা পেলেন জোকোভিচ। তাও আবার ফাইনালে বিশ্ব টেনিসের নজর কাড়া টেনিস খেলোয়াড় কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে। জয়ের পরই দেখা গিয়েছিল অন্য এক জোকোভিচকে। চাম্পিয়ান হওয়ার পর খেলোয়াড়দের বক্সে স্ত্রী ইয়েলেনা ও দুই সন্তানকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ইতিহাসের সফলতম টেনিস খেলোয়াড়কে। জোকোভিচ বলেছিলেন, ‘ আমার সব ছিল, শুধু ছিল না অলিম্পিকের সোনা। সেটা আজ পেয়েছি।আজ আমি সবচেয়ে বেশি গর্বিত।’ একজন কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়ারের টেনিস অঙ্গনে এই ধরনের মুহূর্তটা অবশ্যই স্মরণীয় করে রাখবে প্যারিস অলিম্পিককে।
বাইলসের কুর্নিশ অলিম্পিকের নতুন রানিকে: জিমন্যাস্টিকের সর্বকালের সবচেয়ে বড় তারকা বাইলস এবারও ছিলেন অলিম্পিকে।অলিম্পিকে তিনিই ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দী। কিন্তু ফ্লোর ফাইনালে ব্রাজিলের রেবেকা আন্ড্রেড সোনা জেতার পর তাঁকে কুর্নিশ করেছিলেন বাইলস। আমেরিকার এই তারকা বলেছিলেন, ‘এটাকেই উপযুক্ত মনে হয়েছে। রেবেকা দুর্দান্ত, সে-ই রানি।’ অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিকের এই রানির উক্তি শুনে সেদিন প্যারিস অলিম্পিকে তার কোটি কোটি ভক্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে চোখের জল ফেলেছে!
আধুনিক অলিম্পিকের ইতিহাসে ১০০ মিটারের স্মরণীয় দৌড় দেখল প্যারিস: আধুনিক অলিম্পিক ইতিহাসে সবচেয়ে সূক্ষ্ম ব্যবধানে নির্ধারিত হল এবারের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট। ফাইনালে জ্যামাইকার কিশান টম্পসনকে এক সেকেন্ডের পাঁচ হাজার ভাগের এক ভাগের ব্যবধানে হারালেন আমেরিকার নোয়াহ লাইলস। যেটি নির্ধারিত হয় ফটো ফিনিশে। লাইলস এবার অলিম্পিকে এসেছিলেন জয়ের আশা নিয়ে। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে, ৪x১০০ মিটার রিলে রেসে অংশই নিতে পারেননি আর। ১০০ মিটারে লাইলসের কম ব্যবধানে চাম্পিয়ান হওয়ার নজির প্যারিস অলিম্পিককে স্মরণীয় করে রাখল।
লোপেজের অনন্য কীর্তি: একই ইভেন্টে টানা পাঁচটি সোনা—এর আগে অলিম্পিক এমন কিছু দেখেনি। এবার সে কীর্তিই গড়লেন ৪২ বছর বয়সী কিউবার কুস্তিগির মিহাইন লোপেজ। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন কার্ল লুইস ও মাইকেল ফেলপসের মতো কিংবদন্তিকে। এবার টানা পঞ্চম সোনা জয়ের পর ম্যাটের মধ্যে নিজের জুতাজোড়া রেখে বলে দিয়েছেন এটাই শেষ! ছোট্ট দেশ কিউবার এই কুস্তিগির এই অনন্য কীর্তি গড়ে অলিম্পিকের এক নজির গড়লেন।