ক্রিকেট থেকে এখন তাঁরা সরে গিয়েছেন । কেরিয়ারের মধ্যগগনে যখন ছিলেন, তখন তাঁদের গনগনে তেজ ছিল। কিন্তু গতকাল ইডেন গার্ডেন্স মাতালেন এই লেজেন্ডরা। টানটান ম্যাচে ইন্ডিয়া মহারাজাস শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হারাল ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে। প্রথমে ব্যাট করে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস করে ৮ উইকেটে ১৭০ রান। রান তাড়া করতে নেমে ইউসুফ পাঠান ও তন্ময় শ্রীবাস্তব জ্বলে ওঠেন। শেষের দিকে ইরফান পাঠান ২০ রান করেন। ৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় ইন্ডিয়া মহারাজাস। শুক্রবার ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের অধিনায়ক জ্যাক কালিস টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় । ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের হয়ে ওপেন করেন কেভিন ও ব্রায়েন ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান জোড়েন এই দুই ওপেনার। মাসাকাদজা করেন ১৮ রান। কেভিন ও ব্রায়েন অবশ্য খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারের নায়ক যোগিন্দর শর্মার বলে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক কালিস অতীতে বহু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। এদিন তিনি করেন মাত্র ১২ রান। দীনেশ রামদিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৪২ রানে। থিসারা পেরেরা ১৬ বলে ২৩ রান করেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পঙ্কজ সিং ২৬ রানে দেন ৫ উইকেট। বহু যুদ্ধের সৈনিক হরভজন একটি উইকেট নেন। ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন ইন্ডিয়া মহারাজাসের অধিনায়ক বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (৪)। আরেক ওপেনার পার্থিব প্যাটেলকে (১৮) ফেরান ব্রেসনান। তার কিছুক্ষণ পরেই আউট হন কাইফ (১১)। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে যখন চাপ অনুভব করতে শুরু ইন্ডিয়া মহারাজাস, ঠিক সেই সময়ে তন্ময় শ্রীবাস্তব ও ইউসুফ পাঠান ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন। ইউসুফ ও তন্ময় ১০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তন্ময় ৩৩ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান। তিনি অবশ্য ম্যাচ শেষ করে যেতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে তিনি ডাগ আউটে ফেরেন। অন্যদিকে ইউসুফ পাঠান ৩৫ বলে ৫০ করেন। শেষের দিকে ইরফান পাঠান ৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থেকে যান। পাঠান ভাইরা ম্যাচ বের করে নেন।