Game

1 week ago

ICC WC Final 2023 : বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন ‘চোকার্স’ তকমা এঁটে গেল বিরাটদের

Team India (File Picture)
Team India (File Picture)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে লাস্ট বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। তার পরে ন’বছরের শূন্যতা। এই সময়ের মধ্যে ভারত ন’বার কোনও না কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতার নক আউটে খেলেছে। প্রত্যেক বারই হারতে হয়েছে ভারতকে। বার বার চাপের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতীয় দল। তা হলে কি বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন ‘চোকার্স’ ভারত! যে তকমা এত দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেওয়া হত, সেই তকমা কি এ বার থেকে ভারতের গায়েও এঁটে গেল!

শুরুটা হয়েছিল ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিলেন ধোনিরা। পরে আরও দু’টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক আউট খেলেছে ভারত। ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কাছে ও ২০২২ সালের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে দলকে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হার বড় ধাক্কা দিয়েছিল ভারতকে।

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ও ২০১৯ সালে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ চারে হেরেছিলেন বিরাট কোহলিরা। ২০২৩ সালে দেশের মাটিতে ফাইনালে সেই পরাজিত হয়েও মাঠ ছাড়তে হল রোহিত শর্মাদের।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর থেকে পর পর দু’টি ফাইনাল খেলেছে ভারত। প্রথম বার নিউ জ়িল্যান্ড ও পরের বার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ন’বছরে মোট ন’বার।

কিন্তু কেন বার বার এমনটা হচ্ছে? এমন নয় যে এই প্রতিটি ক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বে ভারত খারাপ খেলেছে। বরং প্রতি বার গ্রুপ পর্বে দাপট দেখিয়েছে তারা। চলতি বছর টানা ১০টি ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। তা হলে কেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছে তারা? শুধুই কি চাপ? না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণও আছে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দু’টি কারণে এটা হতে পারে। ১) বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে সেমিফাইনাল বা ফাইনালের চাপ নিতে না পেরে সহজ বিষয়ে ভুল করা। স্বাভাবিক খেলা খেলতে না পারা। ২) প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বেশি হোমওয়ার্ক না করে মাঠে খেলতে নামা। ফলে প্রতিপক্ষের ভুলত্রুটি ধরতে না পারা।

চলতি বিশ্বকাপে ভারত প্রতিটি ম্যাচে যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলেছে তাতে মনে হয়নি প্রতিপক্ষ সম্পর্কে হোমওয়ার্ক না করে তারা নেমেছে। প্রতিটি দলের ভয়ঙ্কর ক্রিকেটারদের সামনে আলাদা করে ফিল্ডিং সাজানো হয়েছিল। বোলারেরা আলাদা পরিকল্পনা করে বল করছিলেন। তা হলে কি ফাইনালে সে সব গুলিয়ে গেল? ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা না করেই নেমে পড়লেন রোহিতেরা? তা হয়তো নয়। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচে পরিকল্পনা কাজে না-ও লাগতে পারে। সেটাই দেখা গিয়েছে ফাইনালে। বলতে দ্বিধা নেই ভারতীয় টিমের ব্যাটিং চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থতো হয়েছিলই, সেই ব্যর্থতার চাপ নিতে পারল না দলের ফিল্ডিং এবং বোলিংও।

বিশেষজ্ঞদের মতে এই চাপের কাছেই  বার বার ব্যর্থ হচ্ছে ভারত। কয়েক বছর আগেও ‘চোকার্স’ তকমার উপর অধিকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ২০১৫ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যে ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা চাপের কাছে হারত সেটাই দেখা যাচ্ছে ভারতের ক্ষেত্রেও। ফলে প্রশ্ন ওঠাটা অস্বাভাবিক নয় যে ভারতের গায়েও কি লেগে গিয়েছে ‘চোকার্স’ তকমা। যত দিন না রোহিত, কোহলিরা কোনও আইসিসি প্রতিযোগিতা জিততে পারেন, তত দিন কিন্তু এই তকমা লেগেই থাকবে।

You might also like!