দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাঙালি সিনেমার মননে তিনি আজও স্মরণীয়। তাঁর চলে যাওয়া যেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে অভাবনীয় ক্ষতি। চলচ্চিত্র জগতের তিনি যেন এক উজ্জলতম দিশারি। তাঁর মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে আরও একবার স্মরণ করলেন বাংলার তারকা মণ্ডলী। চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কথায় উঠে এল বেশ কিছু পুরনো স্মৃতি। ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘চোখের বালি’, ‘দোসর’, ‘উৎসব’, ‘খেলা’ -র মত জনপ্রিয় ছবিতে ঋতুপর্ণ ঘোষের নায়ক ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ঋতুপর্ণর অনুপস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ প্রসেনজিতের।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ঋতু, তুই নেই এটাই এখনও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না। কত আড্ডা, কত আলোচনা এখনও তো বাকি ছিল বন্ধু। আমি জানি এখনও তুই নতুন নতুন গল্প ভেবে যাচ্ছিস, বেশ কিছু স্ক্রিপ্টের খসড়া তৈরি আছে। আমার নতুন কাজ গুলো নিয়েও নিশ্চয়ই অনেক কিছু বলার আছে। ভালো থাকিস বন্ধু।’
চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর কথায়, ‘ঋতুপর্ণ ঘোষের চলে যাওয়াটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক বড় ক্ষতি। ঋতুপর্ণ ঘোষ জীবিত থাকলে আরও অনেক ভালো ভালো কাজ দর্শক উপহার পেতেন। তিনি যেমন ভালো লিখতে পারতেন, তেমনই ভালো ছবি তৈরি করতে পারতেন। ঋতুপর্ণের সঙ্গে বাড়িওয়ালি ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো।’
ঋতুপর্ণার কথায়, ঋতুপর্ণ ঘোষের চলে যাওয়া আমাদের জন্য এক বড় ক্ষতি। একজন বাঙালি পরিচালক হয়ে তিনি সারা বিশ্ব জুড়ে সম্মান অর্জন করেছিলেন। দহন এবং উৎসব ঋতুপর্ণর সঙ্গে করা আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি ছবি। আরও অনেক অনেক কাজ করা বাকি ছিল, দাদা হিসাবে আরও কিছু দিন যদি ওঁকে পেতাম। ওঁর স্নেহ-ভালোবাসা খুব মিস করি। অনেক স্মৃতি রয়েছে ওঁকে ঘিরে। কিন্তু আমার বিশ্বাস ঋতুপর্ণ ঘোষ যেখানে গেছেন, হয়তো সেখানেও কিছু সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।’