কলকাতা, ৯ সেপ্টেম্বর : রানি এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন টলি অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। রানি এলিজাবেথের যৌবনকালের একটি সুন্দর ছবি নিজের ইনস্টা প্রোফাইলে পোস্ট করে শোকবার্তা লিখতেই সামাজিক মাধ্যমে চরম তোপের শিকার হলেন অভিনেত্রী।
রানির ছবি পোস্ট করে তাঁরই উক্তি দিয়ে ইন্সটাগ্রামে শুভশ্রী লিখেছেন "আমার গোটা জীবন তা সে দীর্ঘস্থায়ী হোক বা ক্ষণস্থায়ী, আপনার সেবায় নিযুক্ত করব। রানি এলিজাবেথ আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।" এই পোস্টে নেটিজেনদের হাসির খোরাক হয়েছেন অভিনেত্রী।
শুভশ্রীকে একহাত নিয়ে নেটিজেনরা তাঁকে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন। কেউ লিখেছেন, 'এখনও এদের মন থেকে দাসত্ব যায়নি।' অন্য এক নেটিজেন শুভশ্রীর আবেগপ্রবণ পোস্ট দেখে প্রশ্ন করেছেন, '‘আপনার এত দুঃখ কেন হচ্ছে। একটা কোহিনূরও তো দিয়ে যায়নি। যদি কোহিনূর পেয়ে রানির মৃত্যুতে শোকাহত হতেন তাহলে বুঝতাম।“
শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ খবরটি ফেসবুকে আসার পর এক ঘন্টায় ২৫টি মন্তব্য এসেছে। সুরমিতা চক্রবর্তী লিখেছেন, “ঠিকই বলেছে সে, শুধু কোহিনুর হীরেই নয় শাহজাহানের সোনার তৈরী ময়ূর সিংহাসনও লুটে নিয়ে গেছে এই দেশ।“
স্বপন পাল লিখেছেন, “কারও মৃত্যুতে (সে যেই হোক) শোকজ্ঞাপন করা ও মৃতদেহের সৎকার করা ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির অঙ্গ।“ সুমন মাজি লিখেছেন, “তাই বলে এক শোষক কের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করাটা বেইমানি, দেশমাতৃকা আমার কাছে আগে।“ অমিত দে লিখেছেন, “উনি ১৯৫২ সালে রানী হয়েছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পাঁচ বছর পর। উনি এর জন্য দায়ী নন। দায়ী উইনস্টন চার্চিল।
নীল দে লিখেছেন, “মারা গেছে বলে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি.. আর উপর থেকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ভাবছে কাদের স্বাধীন করে গেলাম।।
পাপিয়া মুখার্জি লিখেছেন, “সত্যি কথা,এইসব ন্যাকামি আমাদের পক্ষেই করা সম্ভব।“ অর্পিতা ভট্টাচার্য লিখেছেন, “দোষ শুভশ্রীর না, দোষ ওর ইংরেজি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, বিলেতি লোকেদের বার্তা চুরি করে লিখতে গিয়ে ফেঁসে গেছে।“ অনন্যা কবিরাজ লিখেছেন, “আরে পড়াশোনা কিছু করেনি জীবনে জানবে কি করে?“ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বালমেরাল রাজপ্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন রানি এলিজাবেথ। তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় লন্ডনে। রানির মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ গোটা দুনিয়া। ইতিমধ্যেই তাবড় রাষ্ট্রনেতারা শোকজ্ঞাপন করেছেন।