ভোপাল ও রায়পুর, ১৬ নভেম্বর : মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মধ্যপ্রদেশে শুক্রবারই এক দফায় সম্পন্ন হবে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনেই ভোটগ্রহণ হবে শুক্রবার। ভোটগ্রহণকে ঘিরে ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ১১৬। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ১১৪, বিজেপি ১০৯, বিএসপি ২ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৫টি আসনে জেতে। শেষ পর্যন্ত বিএসপি এবং নির্দলদের সমর্থনে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কমল নাথ। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে ২০২০-র মার্চে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়কের বিদ্রোহের জেরে গদি হারান কমল নাথ। চতুর্থ বারের জন্য মধ্যপ্রদেশের কুর্সি পেয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। এবার কী হয়, তা দেখা যাবে ৩ ডিসেম্বর।
১৭ নভেম্বরই ছত্তিশগড়ে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হবে, ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে শুক্রবার। উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে প্রথম দফায় গত ৭ নভেম্বর ২০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল, মোট ৯০টি আসনের মধ্যে বাকি ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে শুক্রবার। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে দেড় দশকের বিজেপি শাসনের ইতি ঘটিয়ে প্রথম বার বিধানসভা ভোটে জিতে ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস। রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৮টি জিতেছিল তারা। বিজেপি ১৫টিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দল ‘জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড়’ (জেসিসি) পাঁচটি এবং তার সহযোগী বিএসপি দু’টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছিল। গত ৭ নভেম্বর প্রথম দফায় মাওবাদী উপদ্রুত ২০টি আসনে ভোট হয়েছে। শুক্রবার হবে বাকি ৭০টিতে। প্রসঙ্গত, আগামী ৩ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় ছাড়াও রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামে ভোটগণনা।