নয়াদিল্লি, ৩ জুন : সোমবার নির্দিষ্ট সময়েই শুরু হলো নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত সাংবাদিক বৈঠক। দেশের সকল ভোটকর্মীদের অভিনন্দন জানানোর জন্য এই বৈঠককেই বেছে নিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি বলেন, এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে ভোটকর্মীরা যান না। তবে এঁদের কেউ প্রশংসা করেন না। এঁদের নিয়ে ভুয়ো প্রচার হলে ওঁদেরও খারাপ লাগে। ভোটকর্মীদের অনেক অভিনন্দন। তিনি জানান, ১.৫ কোটি পোলিং এবং নিরাপত্তা কর্মী কাজ করেছেন নির্বাচনে। এঁদের ছাড়া নির্বাচন সম্ভব হত না। এঁরাই নেপথ্য নায়ক। নির্বাচনে ১৩৫টি বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছে। নজরদারি দল ছিল ৬৮ হাজারের বেশি। ১,৬৯২টি কপ্টার ব্যবহার হয়েছে।
এর পাশাপাশি তিনি একাধিক তথ্য তুলে ধরেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব রেকর্ড গড়েছি। ৬৪.২০ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন। জি৭ দেশগুলির মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সকল ভোটারের মধ্যে ৩১.২০ লক্ষের বেশি মহিলা ভোট দিয়েছেন। দেশের মহিলাদের জন্য গর্বিত। এবারে ৮৫ বছর ও তার বেশি বয়সী এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের সংখ্যাও ছিল উল্লেখযোগ্য। ৮৫ বছরের বেশি বয়সীদের প্রতি শ্রদ্ধা। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা দেখেছেন।
তিনি এও জানান, এ বছর বেশি পুর্নর্নিবাচন হয়নি। ৩৯টি পুর্নর্নিবাচন হয়েছে মাত্র। এর মধ্যে ২৫টি অরুণাচল এবং মণিপুরে হয়েছে। ১৪টি পুর্নর্নিবাচন দেশের বাকি অংশে হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন নিয়ে প্রশংসা করে রাজীব বলেন, এখানে ৫৮.৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২৬টি বিশেষ পোলিং স্টেশন ছিল। মণিপুরের ১০ জেলায় ৯৪টি বিশেষ পোলিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছিল। একটিও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। আন্দামানে আদিবাসীরা ভোট দিয়েছেন। নিকোবরের শোম্বেন সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা প্রথম ভোট দিয়েছেন এবারে। তিনি উল্লেখ করেন, অনেক সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের সাহায্য করেছে। অনেকে নিজে থেকে এগিয়ে এসেছে। আইপিএল ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামেও ভোট নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠক ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই প্রথমবার গণনার আগেই সাংবাদিক বৈঠক করলো নির্বাচন কমিশন। সাধারণত নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় নির্বাচন কমিশন প্রেস কনফারেন্স করে। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে ফল প্রকাশের পরে।