Breaking News
 
School jobs case: এসএসসি নিয়োগ বিধি নিয়ে হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, শনিবার শুনানির সম্ভাবনা! PM Modi in Durgapur: নরেন্দ্র মোদির সভার আগে নাটকীয় মুহূর্ত দুর্গাপুরে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এক তরুণী! Dilip Ghosh: দুর্গাপুরে মোদি, দিল্লিমুখী দিলীপ, বঙ্গ বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! RCB stampede report: আরসিবি-র বিজয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ১১ জনের, চাপ বাড়ল ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর; বিরাট কোহলির নাম জড়াল ঘটনায়! Partha Chatterjee: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনে ফের অনিশ্চয়তা,বিচারপতির অব্যাহতিতে স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে শুনানি! Narendra Modi: মোদির সফর ঘিরে সাজো সাজো রব দুর্গাপুরে, নিরাপত্তায় কড়াকড়ি, রাজনীতির উত্তাপ চরমে!

 

Country

1 year ago

Rahul Gandhi :শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারির অভিযোগ রাহুল গান্ধীর

Rahul Gandhi accused of scam in the stock market
Rahul Gandhi accused of scam in the stock market

 

নয়াদিল্লি :প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কিছু গুরুতর অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নির্বাচন চলাকালীন, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বারংবার লগ্নকারীদের শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপির দুর্দান্ত জয়ের ইঙ্গিত পেয়ে, ফল প্রকাশের আগের দিন রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটেছিল শেয়ার বাজারে। কিন্তু, পরদিন ফলাফল বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলিকে মিথ্যে প্রমাণ করে দেওয়ার পরই, বড়-সড় ধস নেমেছিল শেয়ার বাজারে। মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে খুচরো লগ্নিকারীদের। এই পুরো বিষয়টিকে এদিন ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বড় স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারি বলে দাবি করেছেন রাহুল। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৪ জুন শেয়ার বাজারের বিপর্যয়ের বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রোনোলজি বোঝান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ১৩ মে বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, একটি নির্দিষ্ট সংবাদ চ্যানেলে, ৪ জুনের আগে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন লগ্নিকারীদের। ১৯ মে, ওই একই চ্যানেলে নরেন্দ্র মোদী খোদ বলেছিলেন, ৪ জুন স্টক মার্কেটে রেকর্ড হবে। ২৮ মে একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন তিনি। এরপর, ১ জুন সামনে এসেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির ফল। তাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল ৩৭০ থেকে ৪০০ আসন পেতে চলেছে বিজেপি। রাহুল দাবি করেন, বিজেপির অভ্যন্তরীন মূল্যায়নে নাকি বলা হয়েছিল, ২২০ আসন পেতে পারে বিজেপি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও নাকি জানিয়েছিল, ২০০ থেকে ২২০ পেতে পারে বিজেপি। অর্থাৎ, বিজেপির যে খারাপ ফল হতে চলেছে, তা জানতেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

এরপর ৩ জুন, স্টক মার্কেট আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। আর ৪ জুন ভোটের ফল বের হওয়ার পর, এক ধাক্কায় পড়েছিল স্টক মার্কেট। তথ্য দিয়ে তিনি জানান, ৩০ এবং ৩১ মে স্টক মার্কেটে, তার আগের দিনগুলির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লগ্নি এসেছিল। রাহুলের দাবি, যারা জানতেন স্টক মার্কেটে কিছু করসাজি চলছে, তাঁরাই এই সময়ে লগ্নি করেছিলেন। হাজার কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছিল। বিদেশি লগ্নিকারীরাও টাকা লাগান। এরপর, ৪ জুন ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় খুচরো লগ্নিকারীদের। এরপরই রাহুল বলেন, “এটা ভারতের স্টক মার্কেটের সবথেকে বড় কেলঙ্কারি।” স্টক মার্কেটের এই কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও তুলেছেন –১. কেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লগ্নিকারীদের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের পরামর্শ দিলেন? লগ্নির পরামর্শ দেওয়াটা কি তারই কাজ? ২. কেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মালিকানাধীন একই মিডিয়া হাউসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লগ্নির পরামর্শ দিলেন? ওই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী স্টক মার্কেটে কারসাজি করার অভিযোগে সেবির তদন্তের আওতায় আছে বলেও জানান তিনি। ৩. বিজেপি, ভুয়ো এক্সিট পোলস্টার এবং সন্দেহভাজন বিদেশি লগ্নিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক কি? রাহুল জানান, এই বিদেশি লগ্নিকারীরা, এক্সিট পোল ঘোষণার একদিন আগেই বিনিয়োগ করেছিল এবং বিশাল লাভ করেছিল। যার জন্য ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ৫ কোটি পরিবারকে, যারা স্টক মার্কেটে লগ্নি করে। ব্যয়ে একটি তাদের মধ্যে সংযোগ কী?

রাহুল গান্ধীর অভিযোগের বিষয়ে, ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেছেন যে রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে তিনি এখনও অপরিণত এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। গৌরব ভাটিয়া বলেন, এটা একটা অর্ধ-অসম্পূর্ণ বক্তব্য যে ৪ জুন শেয়ারবাজার কতটা পড়েছিল। রাহুল গান্ধীরও বলা উচিত ছিল গত দুদিনে শেয়ার বাজার কত দ্রুত বেড়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা কত লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে। গৌরব ভাটিয়া প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি পড়ে শোনান এবং বলেন যে এর কোথাও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়নি। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার সাথে শেয়ারবাজারের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু রাহুল গান্ধীর বক্তব্য এবং জেপিসি-র দাবির সরাসরি অর্থ হল তিনি আসন্ন লোকসভাতেও নেতিবাচক বিষয়গুলি উত্থাপন করতে চলেছেন। দেশ ও বিরোধী দলের উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা না নিয়ে তার দল গোলমাল ও হট্টগোল করতে চায়।


You might also like!