দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে জগন্নাথধামে গেলেন তিনি। পুজো দিয়ে বেরিয়েই রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হলেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের চাবি নিখোঁজ কেন? প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।কোথায়, কার কাছে আছে সেই চাবি! মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ঘুরপাক খাওয়া একদল লোকই দায়ী জগন্নাথদেবের অমূল্য রত্নকোষের চাবি 'হারানো'র জন্য। সোমবার সকালে পুরীর মন্দিরে পুজো দিয়ে এক বিশাল রোড শোয়ের পর ঢেঙ্কানলে একটি জনসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
ওড়িশার ঢেঙ্কানল এবং অঙ্গুলে দুটি জনসভা করেন এদিন মোদী। ভোট প্রচারে ওড়িশার অনুন্নয়ন, দারিদ্র্য ও পিছিয়ে পড়া নিয়ে নবীনের বিজেডি সরকারকে আগাপাশতলা কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন জোর দিয়ে বলেন, ওড়িশা থেকে বিজেডি সরকারের যাওয়ার পালা এসে গিয়েছে। ওড়িশাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। তার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নামোল্লেখ না করলেও তাঁর পার্ষদবর্গকে দুর্নীতির পীঠস্থান বলে বর্ণনা করেন মোদী। বলেন, এই রাজ্য খনিজ সম্পদে ঐশ্বর্যশালী। কিন্তু, এখানকার মানুষ তার সুফল থেকে বঞ্চিত। ওড়িশার মানুষের এই দুরবস্থার কারণ কে? প্রশ্ন তোলেন জনসভায়।
মোদীর বক্তব্য, এ রাজ্যে বিজেডি সরকার চলছে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এবং বাসভবনে যারা বসে রয়েছে, তারা সকলেই ভ্রষ্টাচারী। বিজেডির এক-একজন চুনোপুঁটি নেতাও কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন।
শাসকদলের উপর একহাত নিয়ে মোদী বলেন, খনিজ সম্পদের অংশ থেকে বঞ্চিত ওড়িশার মানুষ। সরকারই সেই সুযোগ থেকে তাঁদের দূরে রেখে দিয়েছে। ২০১৪ সালে কেন্দ্র একটি নতুন খনিজ উৎপাদন নীতি গ্রহণ করেছিল। যাতে ওড়িশাকে প্রচুর রয়্যালটি দেওয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, নবগঠিত জেলা খনিজ তহবিলে ওড়িশাকে ২৬ হাজার কোটি দেওয়া হয়েছে। এই টাকা রাস্তা, স্কুল এবং পানীয় জলে খরচ করার কথা। কিন্তু বিজেডি সরকার সেই টাকার অপব্যবহার করেছে। ফলে এই সরকারের হাতে না খনিজ সম্পদ, না সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কিছুই নিরাপদ নয়।
এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মন্দিরের রত্নভাণ্ডার যা জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার বলে পরিচিত, তার চাবি গায়েব হওয়ার রহস্য উদ্ধারে কেন বিচারবিভাগীয় তদন্তের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে ওড়িশা সরকার? এর পিছনে বিজেডির ভূমিকা বেশ সন্দেহজনক। আগামী ১০ জুন রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হওয়ার পর তা প্রকাশ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।