নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর : প্রকৃতি ও পরিবেশ, পশু-পাখি, ভারতের জন্য শুধু স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তাই নয়। আমাদের সংবেদনশীলতা এবং আধ্যাত্মিকতার ভীত। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সকালে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে চিতা প্রোজেক্টের সূচনা করার পর ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "কয়েক দশক পর চিতা আমাদের দেশে ফিরে এসেছে। এই ঐতিহাসিক দিনে, আমি সমস্ত ভারতীয়কে অভিনন্দন জানাতে চাই এবং নামিবিয়ার সরকারকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সাহায্য ছাড়া এটি সম্ভব হত না।" প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "কয়েক দশক আগে জীববৈচিত্র্যের প্রাচীন লিঙ্কটি ভেঙে গিয়েছিল এবং বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, আজ আমাদের এটিকে পুনরায় সংযুক্ত করার সুযোগ এসেছে। এই চিতার পাশাপাশি ভারতের প্রকৃতি-প্রেমী চেতনাও পূর্ণ শক্তিতে জেগে উঠেছে।" প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীর ভারত বিশ্বকে একটি বার্তা দিচ্ছে যে অর্থনীতি এবং বাস্তুশাস্ত্র পরস্পরবিরোধী ক্ষেত্র নয়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, "কুনো ন্যাশনাল পার্কের এই চিতাগুলিকে দেখার জন্য মানুষকে ধৈর্য রাখতে হবে এবং কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। এই চিতারা অতিথি হয়ে এসেছে। কুনো ন্যাশনাল পার্ককে তাঁদের বাড়ি বানানোর জন্য আমাদের এই চিতাগুলিকে কয়েক মাস সময় দিতে হবে।" প্রসঙ্গত, নামিবিয়া থেকে ৮টি চিতা ভারতে উড়িয়ে নিয়ে এসেছে বিশেষ বিমান। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থকে বায়ুসেনার কপ্টারে সেই চিতাগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় কুনো জাতীয় অভয়ারণ্যে। শনিবার চিতাগুলিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খাঁচামুক্ত করেছেন। খাঁচার দরজা খুলে চিতাগুলিকে ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। চিতাগুলিকে অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ছবিও তুলেছেন। একটি যন্ত্রের হাতল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চিতার খাঁচার দরজা খোলেন প্রধানমন্ত্রী। ধীরে ধীরে খুলে যাওয়া দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে চিতাগুলি। প্রধানমন্ত্রী তাদের ছবি তোলেন ক্যামেরায়।