দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আর ৫ ঘ্নটা নয় দিল্লি থেকে রাজস্থানের জয়পুর পৌঁছে যাবেন মাত্র ২ ঘন্টায়। সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, রাজ্যবাসীর জন্য বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর), রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের হয়ে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজস্থানের জয়পুরে আয়োজিত জনসভাতেই তিনি জানান, বৈদ্যুতিক তারের হাইওয়ে তৈরির পরিকল্পনার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে যাতায়াতের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
ঝোটওয়ারা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। তাঁর সমর্থনে এদিন জয়পুরে এক সভা করেন নিতিন গড়করি। সেখানে তিনি বলেন, “এখন আমরা জয়পুর-দিল্লির মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক তারের হাইওয়ে তৈরি করছি। এর মাধ্যমে আপনি বিজনেস ক্লাসে বসে দুই ঘণ্টায় দিল্লি পৌঁছাতে পারবেন। সেই সঙ্গে এর ভাড়াও ডিজেল বাসের থেকে ৩০ শতাংশ কম হবে। যখন আমরা বলেছিলাম যে দিল্লি থেকে মিরাট যেতে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় লাগবে, তখন সাংবাদিক বন্ধুরা হেসেছিলেন। আজ, অনেকতেই আমায় বলেন যে তাঁরা আইসক্রিম খেতে মিরাট থেকে দিল্লিতে আসেন। আমি চাই জয়পুরের মানুষ দিল্লিতে গিয়ে সেখানকার আইসক্রিম খাক, আর দিল্লির মানুষ জয়পুরে এসে এখানকার কচুরি খাক। দেশের মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ায় ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।”
একই সঙ্গে নির্বাচনী সভা থেকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের দল মা-ছেলের দল নয়। বাপ-ছেলের দলও নয়। আমিও দলের একজন ছোট কর্মী ছিলাম। পোস্টার সাঁটাতাম। তারপরও দল আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু নিয়ম বদলানো নয়। আমাদের লক্ষ্য দেশের ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব দূর করা।” শুধু রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের হয়েই নয়, পরে তিনি আরেক বিজেপি প্রার্থী দিয়া কুমারীর সমর্থনে বিদ্যাধর নগর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি রোড শোও করেন। রোডশোর পরে আরও এক সমাবেশে ভাষণ দেন নিতিন গড়করি। সেখানে তিনি বলেন, “আমি রাজস্থানের অনেক জায়গা ঘোরার সুযোগ পেয়েছি। জনগণের উৎসাহ দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমার পূর্ণ আস্থা আছে যে দিয়া কুমারী জয়ী হবেন এবং ভারতীয় জনতা দল রাজস্থানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।”