মালিগাঁও, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২:
উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে এক বৃহৎ বিকাশের পথ উন্মুক্ত করে ভারত সরকারের বন্দর, নৌ-পরিবহণ ও জলপথ বিভাগের সম্মানীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল আজ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে রেলওয়ের দ্বারা নির্মিত ডিব্রুগড়ে বগিবিল রেল তথা পথ সেতুর নিকটে রিভারফ্রন্ট প্যাসেঞ্জার জেটির উদ্বোধন করেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিভাগের রাজ্যমন্ত্রী সম্মানীয় শ্রী রামেশ্বর তেলি, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী অনশুল গুপ্তা, তিনসুকিয়া ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শ্রী বিজয় কুমার মিশ্র ও বরিষ্ঠ রেলওয়ে আধিকারিকরা এবং বন্দর, নৌ-পরিবহণ ও জলপথ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। বগিবিলে রিভারফ্রন্ট জেটির উদ্বোধন করার সময় সম্মানীয় মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই প্যাসেঞ্জার জেটির সফল বিকাশের জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রশংসা করে পাণ্ডু, যোগীঘোপা ও ধুবড়িতে একই ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা করার জন্য রেলওয়েকে অনুরোধ জানান। তিনি প্যাসেঞ্জার জেটির সফল প্রবর্তনের জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার ও তিনসুকিয়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এই অনুষ্ঠানে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার নিউ তিনসুকিয়া ও ডিব্রুগড় রেলওয়ে স্টেশনকে বিশ্বমানের রূপ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। জেনারেল ম্যানেজার আরও বলেন যে বগিবিলে পর্যটনের বিকাশের জন্য ধামালগাঁও স্টেশনেরও উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি এই সমগ্র অঞ্চলের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক বিকাশের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে মাল্টিমোডাল কনসেপ্ট-এর দ্বারা পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রাফিক পরিচালনার জন্য গতি শক্তি ইউনিট হিসেবে বগিবিলের উন্নয়ন করা হবে।
সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা চালু করা ‘গতি শক্তি’ অভিযানের অধীনে রেল পথ ও জলপথের মধ্যে সংহত সংযোগ স্থাপনের দিকে বগিবিল সেতুর নিকটে নদীর পারের উন্নয়নে এই প্রকল্পটি একটি মুখ্য পদক্ষেপ।বগিবিল অঞ্চলের চারপাশে স্থানীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপের প্রচার ও প্রসারের বিষয়টিও গতি লাভ করবে। এই প্রকল্পটি উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য মাল্টিমোডাল পরিবহণ কেন্দ্র বিকাশের নেতৃত্ব প্রদান করবে এবং উজান অসম ও অরুণাচল প্রদেশ অঞ্চলে পর্যটনের প্রত্যাশা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও প্রকল্পটি পণ্যসামগ্রীর পরিবহণ ব্যবস্থায় সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি জনগণের চলাচলের জন্য ভ্রমণের সময় ও ব্যয় হ্রাস করবে।
গত বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথোরিটি অব ইন্ডিয়া (আইডব্লিউএআই), অসম সরকারের অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ বিভাগের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফলাফল হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দ্বারা বগিবিলে রিভারফ্রন্ট বিকাশের কাজ গ্রহণ করা হয়েছিল। সমগ্র প্রকল্পটি দক্ষিণ তীরে বগিবিল সেতুর নিম্নধারায় বাস্তবায়িত করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি জলপথ পরিবহণের পণ্য সামগ্রী রেলওয়ের মাধ্যমে গন্তব্যস্থল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তথা কার্গো চলাচলকে আরও সুবিধাযুক্ত করে তুলবে। এই রিভারফ্রন্ট সুবিধাটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। জেটিতে উপলব্ধ বোটিং, ক্রুজের মতো উত্তেজনাপূর্ণ ওয়াটার স্পোর্টগুলি পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে মুগ্ধ করবে। এছাড়াও রেস্টুরেন্ট, টয়লেট, পার্কিং ইত্যাদির মতো সুবিধাগুলিও জনগণকে বৃহৎভাবে উপকৃত করবে।