দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ তিনটি বিষয় অতি সংবেদনশীল একদিকে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা অন্যদিকে শাহি ইদগাহ মসজিদ বিতর্ক সঙ্গে আবার দিল্লিতে ৬০০ বছরের একটি পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলার ঘটনা। ASI-এর রিপোর্ট সামনে এসেছে সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায়। রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে হিন্দু মন্দির ছিল এই স্থানে। পুজোপাঠও শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপীর তেহখানায় পুজোর অনুমতি দেওয়ার পর। অন্যদিকে বড় তথ্য় সামনে এসেছে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি শাহি ইদগাহ বিতর্কে । এই মন্দির ভেঙে মথুরায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সাসক ঔরঙ্গজেব। RTI-তে চাওয়া তথ্যের উত্তরে জানা গিয়েছেন এমনটাই। RTI-তে আগ্রার প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ জানিয়েছে, মন্দির ভেঙে ঔরঙ্গজেব যে মসজিদটি তৈরি করেছিলেন তার জায়গাতেই তৈরি করা হয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। অন্য়দিকে, দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটি মেহরোলি এলাকায় অবস্থিত আখুন্দজি মসজিদটি গত ৩০ জানুয়ারি ভেঙে ফেলেছে বলে অভিযোগ। এই আবহে এই ইস্যুগুলিতে হাতিয়ার করে মাথাচাড়া দিতে পারে দেশবিরোধী শক্তিগুলি। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রের খবর মিলেছে তেমনটাই। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা দেশের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই আগাম সতর্কতামূলক ব্য়বস্থা নিয়ে রাখা হচ্ছে। অতি সতর্ক রয়েছে দিল্লি পুলিশ এবং সাইবার ইউনিটগুলি। দেশবিরোধী বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কোনও ভাবেই যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে তার জন্য কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। এই আবহে ছোটখাটো বিবাদের আড়ালেও বড় ধরনের অশান্তির আশঙ্কার উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
৩১ জানুয়ারি আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের 'ব্যাস কা তাহখানা'-তে ভক্তদের উপাসনা করার অনুমতি দিয়েছে। সেখানে শুরু হয়েছে পুজোপাঠ। সম্প্রতি বিতর্ক বাড়ছে শাহি ইদগাহ মসজিদ নিয়েও। ৩০ জানুয়ারি DDA-এর বিরুদ্ধে দিল্লির মেহরোলি এলাকায় অবস্থিত আখুন্দজি মসজিদটি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, এই আবহে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াকে হাতিয়ার বানিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিছু দুষ্কৃতকারী জোর করে ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। দুষ্কৃতীদের টার্গেটে প্রথমেই রয়েছে রাজধানী তথা দিল্লি। কারণ দিল্লির বুকে একবার অশান্তির আগুন জ্বালিতে দিতে পারলেই গোটা দেশেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়বে। ফলে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত ধর্মীয় সংগঠন ও স্পর্শকাতর এলাকায় বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাদা পোশাকে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করার নির্দেশ গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে। এছাড়াও জুমার নমাজের সময় সকল ধর্মীয় উপাসনালয় ঘিরে পর্যাপ্ত পুলিশ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শান্তি কমিটি, সিভিল ডিফেন্স কমিটি, ধর্মীয় স্থানের ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ব্রাদারহুড কমিটির সাথে বৈঠক করতে বলা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকায় পিকেট, টহল, পিসিআর ভ্যান মোতায়েন করা হবে। বিশেষত যারা আগে CAA/NRC বিক্ষোভে জড়িত ছিল এবং শান্তি বিঘ্নিত করেছে তাদের উপর বিশেষ নজর রাখা হবে। কোথায় কোনও প্রতিবাদ-মিছিল হলেও তার ছবি তোলা হবে। স্পর্শকাতর এলাকার ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।