দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উপত্যকায় তীর্থযাত্রীদের বাসে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, বাসে থাকা অন্তত ১০ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও ৩৩ জন। আপাতত পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত করতে এএনআইকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে মল্লিকার্জুন খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালানোর ঘটনায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার দু’ থেকে তিন জন জঙ্গি জড়িত। এ-ও মনে করা হচ্ছে, গত মাসে রাজৌরি এবং পুঞ্চ এলাকায় হামলার ঘটনাতেও যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা।
সেই জঙ্গিদের খুঁজে বার করতে ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখা হচ্ছে। কাছের জঙ্গলে জঙ্গি ডেরা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-র একটি দলও এই অভিযানে যোগ দিয়েছে। এলাকায় এলাকায় চলছে নাকা চেকিং।
সদ্য শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আর ভোট মিটতেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হানা হয় রবিবার। রবিবার সন্ধ্যায় রিয়াসি জেলায় একটি মন্দির থেকে ফেরা পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বাসটি যখন শিব খোরি মন্দির থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের বেস ক্যাম্পের দিকে ফিরছিল, তখন ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা পুণ্যার্থীদের বাস লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। বাসচালক গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ভারসাম্য হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৩৩ জন। সেই হামলারই তদন্তে নেমেছে ভারতীয় সেনা এবং এনআইএ।