কলকাতা, ৯ সেপ্টেম্বর : সঙ্ঘে আসতে চাইলে সেবার মনোভাব নিয়ে আসুন, দেশের জন্য নিবেদিত হন। যদি মনে করেন সঙ্ঘে এসে আপনি নেতা হয়ে টিকিট পাবেন, তাহলে ভুলে যান। স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশ্য এই বার্তা দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-র সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। জাতিগত জনগণনা নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি। মোহন ভাগবত বলেছেন, জাতিগত জনগণনার তথ্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা উচিত। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য এসব তথ্য যাতে অপব্যবহার না হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে।
সাংগঠনিক কারণে দু’দিনের সফরে গত শনিবার কলকাতায় এসেছিলেন মোহন ভাগবত। বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের একটি অনুষ্ঠানে রবিবার তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত রথীন্দ্র মঞ্চে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মহিলাদের মাতৃশক্তি হিসেবে বন্দনা করেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে? নাগরিকদের অনেক বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’ পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘‘গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এই ঘটনা মোকাবিলায় সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’’
স্বাধীনতা সংগ্রামে সঙ্ঘের ভূমিকা প্রসঙ্গে আলোচনা করে ভাগবত সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ হেডগেওয়ার এবং ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর মতো অনুশীলন সমিতির নেতৃস্থানীয় বিপ্লবীদের মধ্যে সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ডক্টর হেডগেওয়ার কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে থাকার সময় বিপ্লবীদের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনে' সঙ্ঘের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন।