দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারের বিরুদ্ধে তিনি কোনও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেননি। আম আদামি পার্টি (আপ)-র রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল এই দাবি করে বললেন, ‘‘প্রয়োজনে আমি পলিগ্রাফ পরীক্ষার মুখোমুখি হতেও রাজি।’’
স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহের তদন্তে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ, এমন খবর মিলেছে। বিষয়টি একদমই ভাল চোখে দেখছে না আম আদমি পার্টি। তারা প্রথমেই স্বাতীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনে দাবি করেছিলেন যে, তিনি বিজেপি অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছেন। তবে স্বাতী পাল্টা দাবি করেছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহ আপ-এর সকলেই তাঁকে কাঠগড়ায় তুলে আদতে বিভাবকে বাঁচাতে চাইছে। কাউকেই তিনি বিশ্বাস করেন না।
স্বাতীর কথায়, ''আমি বুঝতেই পারছি না কেন এমন হল, কেউ আমার বিরুদ্ধে কেন এমন করল। প্রতিদিন আমার চরিত্র হনন করা হচ্ছে। এডিট করা ভিডিও ফাঁস করে, আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই আমি হেনস্তার শিকার হলাম, আর আমার সঙ্গেই এইসব হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে আমি পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য তৈরি।'' পুলিশে দায়ের করা এফআইআর-এ তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুলে স্বাতী বলেন, ''যা যা হয়েছে ঠিক সেটাই বলেছি। কিছুই বাড়িয়ে বলিনি। আমি যে সত্যি বলছি তা প্রমাণ করার জন্য সব করতে প্রস্তুত।''
সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে স্বাতী স্পষ্ট দাবি করেছেন, হেনস্থা চলাকালীন তিনি একাধিকবার সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাড়িতে থাকাকালীনও আসেননি। তিনি তো দূর, অন্য কেউও তাঁকে সাহায্য করতে আসেনি। আপের রাজ্যসভার সাংসদের সন্দেহ, কারও মদতে এই কাজ করেছেন বিভাব। তবে তিনি কে, সেই বিষয়ে স্বাতী কিছু বলেননি। যদিও তাঁর স্পষ্ট কথা, তিনি কাউকেই বিশ্বাস করেন না আর।
ঘটনার সূত্রপাত ১৩ মে। অভিযোগ স্বাতী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। বসার ঘরে তিনি যখন অপেক্ষা করছিলেন, তখন কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভাব কুমার তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। যদিও এই বিষয় নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ঘটনার দুটি দিক আছে। তিনি চান গোটা বিষয়টির নিরপেক্ষ এবং সঠিক তদন্ত হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন স্বাতী। তাঁর বক্তব্য, ঘটনার এতদিন হয়ে গেলেও কেজরিওয়াল তাঁকে একবারও ফোন করেননি, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাননি। এদিকে বলছেন ঘটনার দুটি দিক রয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে, তিনি কাউকে বাঁচাতে চাইছেন।