উত্তরকাশি, ২১ নভেম্বর : সুড়ঙ্গেই কেটে গিয়েছে ১০ দিন, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশির নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে অনেকেরই বমিভাব বা মাথাব্যাথার মতো উপসর্গ শুরু হয়েছে। সবাইকে এখনও বের করা সম্ভব হয়নি, বিশেষজ্ঞরা এসে পৌঁছেছেন, তবুও উদ্ধারকাজে আরও কিছু সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের দেখা গেল, আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার সাহায্যেই শ্রমিকদের দেখা গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে সহজে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনও সফলভাবে করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিশেষজ্ঞ দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পাঁচ দফা পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাঁচটি সরকারি সংস্থা দিনরাত উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিন দিক থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের বার করে আনার প্রচেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, উত্তরকাশির ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওর মধ্যে পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছিল। গত ১২ অক্টোবর হঠাৎ ধস নামলে সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন শ্রমিকেরা। ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে আছেন বাংলার তিন জনও। হিমালয়ের ভঙ্গুর ভূপ্রাকৃতিক গঠনের জন্য উদ্ধারকাজে এত সময় লাগছে বলে দাবি প্রশাসনের। তবে, উদ্ধারকারী দল হাল ছাড়তে নারাজ। যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবুও আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে বাড়ছে উৎকন্ঠা।