দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাস স্ট্যান্ডে এক ব্যাক্তি খাচ্ছেন বিড়ালের কাঁচা মাংস! ঘটনাটি দেখে হতভম্ব হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা। কেরালার কোঝিকোড়ের ঘটনা শুনলে গা শিউরে উঠছে অনেকের। যে ব্যাক্তি এমন কাজ করছিলেন, তিনি কেরালার কোঝিকোড়ের থাকতেন। দৃশ্য দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা খবর দেন পুলিশে। ওই ব্যাক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে কোঝিকোড় সরকারি মানসিক হাসপাতালে। কুট্টিপুরম পুলিশ মারফত জানা গিয়েছে, অসমের ধুবরি জেলার বাসিন্দা ওই ব্যাক্তি। তাঁকে তালুক হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষার পর মানসিক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির মানসিক সমস্য়া রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁকে কোঝিকোড়ের সরকারি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যক্তির মানসিক ভারসাম্য ঠিক নেই।
বাসস্ট্যান্ডে ওই দৃশ্য দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দিলে ভয়ে তখন সেখান থেকে পালিয়ে যান ব্যক্তি। পরে রেলস্টেশনের সামনে তাঁকে পুলিশ ধরে ফেলে। পুলিশ ব্যক্তিকে কিছু খাবার কিনে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন ব্য়ক্তি জানান তিনি ক্ষুধার্ত। জানান, চার দিন ধরেই অভুক্ত রয়েছেন। খিদের জ্বালায় নাকি তিনি বিড়ালের কাঁচা মাংস খাচ্ছিলেন।
শনিবার বিকেলের দিকে ওই ব্য়ক্তিকে বাসস্ট্যান্ডে একটি প্যাকেট থেকে কিছু বার করে খেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্যাকটটি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সকলের সন্দেহ হয়। আশপাশের লোকজন উৎসুক হয়ে দেখতে যান প্যাকেটটির মধ্যে কী রয়েছে। তখনি ধরা পড়ে বিড়ালের কাঁচা মাংস মুখে পুড়ছেন ব্যক্তি। কুট্টিপুরম পুলিশের ইন্সপেক্টর পি কে পদমরাজন জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে নিখোঁজ হলেও রবিবার সকালে তাঁকে কুট্টিপুরম রেলস্টেশনের কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেখান থেকে পাকড়াও করা হয় তাঁকে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তি চেন্নাই থেকে কোঝিকোড়ে এসেছিলেন। কোঝিকোড়ে ভাইয়ের কাছে কিছুদিন থাকেন ব্যক্তি। তারপর আচমকাই একদিন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন, জানিয়েছেন ব্যক্তির ভাই। ব্যক্তিকে পরীক্ষার পর তাঁকে কোঝিকোড় মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রান্না করা মাংসের তুলনায় কাঁচা প্রাণীজ পণ্য়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা বেশি। পরিষ্কার করা সত্ত্বেও এই মাংস খাওয়ার পরে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হতে পারে। কাঁচা মাংস খোলা বাতাসে রাখা উচিত নয়। কারণ এটি দূষণের ঝুঁকি বাড়ায়। কাঁচা মাংসে থাকে ফিতা কৃমির জীবাণু। এই পরজীবি প্রাণিটি মানুষের দেহে বাসা বেঁধে মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করার পাশাপাশি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।