‘প্রতিবেশী প্রথম’। এই নীতিতে জোর দিয়ে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মরিশাস, মালদ্বীপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হয়, সেই জন্যই সার্কের অধিকাংশ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চিনের ‘গা জোয়ারি’ রুখতে ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৌশলগত দিক দিয়ে এই দেশগুলো ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, নেপালের পুষ্পকমল দাহাল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ যুগনাথকে ফোনে আমন্ত্রণ জানান মোদি (Narendra Modi)। বাকি সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধে সোয়া সাতটা থেক শুরু হওয়া শপথগ্রহণে হাজির থাকবেন অন্তত সাতটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। রবিবার দুপুরের মধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে যাবেন সকলে।
অতিথিদের তালিকায় সবচেয়ে নজরকাড়া নাম মহম্মদ মুইজ্জু। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে ‘শত্রুতার’ সম্পর্ক হয়েছে তাঁর। কিন্তু মোদির আমন্ত্রণে ভারতে আসছেন তিনি। এছাড়াও হাজির থাকবেন শেখ হাসিনা, রনিল বিক্রমসিংহে, পুষ্পকমল দাহাল, শেরিং তোবগে, প্রবিন্দ যুগনাথ, সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ সকলেই। জানা গিয়েছে, হাই প্রোফাইল অতিথিদের জন্য হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে গোটা দিল্লিতে। হোটেলগুলোতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেল থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা রয়েছে।