দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বিশেষ করে নিরামিষাশী মানুষদের প্রোটিন অনেক প্রয়োজন। আমিষ ও নিরামিষ আহারি সকলের ক্ষেত্রেই রাজমা খুবই উপকারী। রাজমা পাঞ্জাবী দের সবচাইতে জনপ্রিয় খাবার।।এটি খুবই উপকারী। রাজমা-তে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকায় নিরামিষ ভোজী মানুষের জন্যে এটি খুবই ভালো একটা খাবার।ভালো করে রাজমা রান্না করলে খুবই সুস্বাদু হয় এবং সাদা ভাত দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। বাড়িতে খুব সহজেই বানিয়ে নেওয়া যায় এই রাজমা।
∆ উপকরণ:
* ছোট দানার পাহাড়ি লাল রাজমা 200 গ্রাম
* গোটা গরম মশলা (দারচিনি ১টি,ছোট এলাচ ২টি,লবঙ্গ ২টি);
* শুকনো লঙ্কা ১টি;
* তেজপাতা ১টি;
* হিং ১ চিমটি;
* কসুরী মেথি ১/৪চা চামচ;
* টমেটো কুচি ১টি বড়ো;
* পেঁয়াজ কুচি ১টি বড়ো;
* আদা রসুন বাটা ১টেবিল চামচ;
* টমেটো পিউরী ১টেবিল চামচ;
* কাশ্মিরী লাল লঙ্কা গুড়ো ১চা চামচ;
* হলুদ গুড়ো ১/২চা চামচ;
* ধনে গুড়ো ১চা চামচ;
* গরম মশলা গুড়ো ১চা চামচ;
* দুধ ১/২ কাপ;
* ফ্রেশ ক্রীম ২টেবিল চামচ;
* সরষের তেল ৬ টেবিল চামচ;
* ঘি ১চা চামচ;
* ধনেপাতা ১টেবিল চামচ;
* চিনি ১/২চা চামচ;
* নুন পরিমাণ মতো।
∆ রন্ধনপ্রণালী:
প্রথম পর্ব - রাজমা ৭/৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে জল থেকে ছেকে তুলে প্রেশার কুকারে জল দিয়ে তাতে নুন আর হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করতে দিন।একটা সিটি বেড়োনোর পর গ্যাস কমিয়ে ১০ মিনিট রাখার পর গ্যাস বন্ধ করে দিন।ঠান্ডা হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে দিন।
দ্বিতীয় পর্ব - এবার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে হিং,কসুরী মেথি, শুকনো লঙ্কা আর গোটা গরম মশলা গুলো একটু ভেঙ্গে নিয়ে ফোরন দিন।সমস্ত উপকরন গুলো হাতের কাছে রাখুন।
তৃতীয় পর্ব - ফোরন এর সুগন্ধ বেড়িয়ে এলে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন।পেঁয়াজ স্বচ্ছ হয়ে গেলে টমেটো দিয়ে ভাজুন।সামান্য নুন দিন।টমেটো নরম হয়ে এলে আদা রসুন বাটা আর টমেটো পিউরী দিয়ে কষাতে থাকুন।সমস্ত গুড়ো মশলা মেশান।
চতুর্থ পর্ব - এভাবে কষাতে কষাতে যখনই মশলার মিশ্রণটি থেকে তেল আলাদা হয়ে আসলে সিদ্ধ করা রাজমাটা জল সমেত দিয়ে দিন।চিনি দিন।
পঞ্চম পর্ব - রাজমা ফুটে উঠলে গ্যাস কমিয়ে দিয়ে রান্না করুন।নাড়তে থাকুন যাতে তলায় ধরে না যায়।এভাবে ১০ মিনিট রান্না করার পর যখন রাজমা বেশ গাঢ় মাখা মাখা হয়ে আসবে দুধ আর ঘি মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
ষষ্ঠ পর্ব - ধনেপাতা কুচি আর ক্রীম দিয়ে গার্নিস করুন।
সপ্তম পর্ব - গরম গরম বাসমতি চালের সাদা ভাত অথবা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।